একনজরে বীমা খাত


একনজরে বীমা খাত
বাংলাদেশে মোট বীমা কোম্পানি রয়েছে ৮১টি। এর মধ্যে ৩৫টি জীবন বীমা কোম্পানি। নন-লাইফ বা সাধারণ বীমা কোম্পানি রয়েছে ৪৬টি, যার মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন। বীমার আওতায় রয়েছে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বীমা কোম্পানিগুলোর শাখার সংখ্যা ৭ হাজার ৮৭৩টি। এক বছরে শাখার সংখ্যা বেড়েছে ১ হাজারেরও বেশি। মোট বীমা এজেন্টের সংখ্যা ৫ লাখ ৩০ হাজার, যা এক বছরে ১৩ হাজারের বেশি বেড়েছে। দেশে গত বছর শেষে বীমার পলিসি সংখ্যা ছিল প্রায় ৮৯ লাখ। এর মধ্যে জীবন বীমার ৭৮ লাখ এবং সাধারণ বীমার প্রায় ১১ লাখ পলিসি রয়েছে। বীমা দাবি ও নিষ্পত্তি: ২০২২ সালে মোট বীমা দাবি ছিল ১৬ হাজার ৮২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জীবন বীমায় দাবি ছিল ৯ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা। নন-লাইফে দাবি ছিল ১ হাজার ১ কোটি টাকা। মোট বীমা দাবি নিষ্পত্তি হয়েছে ১০ হাজার ২৬০ কোটি টাকার। এর মধ্যে জীবন বীমার অংশ ৬৭ শতাংশ এবং সাধারণ বীমায় ৩৩ শতাংশ। মোট সম্পদ ও বিনিয়োগ: বীমা খাতে মোট সম্পদের পরিমাণ ৬৩ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে জীবন বীমায় ৪৫ হাজার ৭১৫ কোটি টাকা এবং সাধারণ বীমায় ১৭ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা। মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৪৬ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা, যার মাধ্য জীবন বীমায় ৩৭ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা এবং সাধারণ বীমা খাতের বিনিয়োগ ৮ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা। জিডিপির অংশ হিসেবে প্রিমিয়াম আয়: চলতি মূল্যে ২০২১ সালে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) পরিমাণ ছিল ৩৫ লাখ ৩০ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। আর ওই বছরে বীমার প্রিমিয়াম আয় হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা। জিডিপির অনুপাতে বীমার পেনিট্রেশন দাঁড়িয়েছে শূন্য দমশিক ৪১ শতাংশ।