একুশের চেতনায় বাংলা ভাষার সমৃদ্ধি ঘটাতে হবে


বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি পেতে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। রক্তে রঞ্জিত হয়েছে ঢাকার রাজপথ। ভাষার জন্য এ আত্মত্যাগ ও আন্দোলনকে পৃথিবী স্বীকৃতি দিয়েছে। ভাবতে ভালো লাগে, শিহরন জাগে ভাষার জন্য আমাদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানিয়ে বিশ্ববাসী প্রতিবছর ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ পালন করছে, দিনটি পেয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি। ফেব্রুয়ারি এলেই আমরা একুশকে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালনের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকি। মাসের কোন কোন দিন বইমেলায় যাওয়া হবে, একুশের প্রত্যুষে শহিদবেদিতে কীভাবে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হবে-এসব চিন্তা সবাইকে ভীষণভাবে আন্দোলিত করে। ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই তাঁত, সুতির সাদা-কালো কাপড়ে বর্ণমালা খচিত পোশাক পরে হাতে ফুল, ফুলের তোড়া নিয়ে প্রত্যুষে শিশিরস্নাত পথ, ঘাসের চত্বর মাড়িয়ে শহিদবেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। কিন্তু এরপর শহিদ মিনার এলাকা ছেড়ে যতই দূরে যেতে থাকি, বাংলা ভাষার প্রতি, ভাষাশহিদদের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারগুলো ক্রমেই দূরে সরে যেতে থাকে। ফিকে হয়ে যায় আমাদের চেতনাগুলো। সবকিছু ভুলে ডুবে যাই নৈমিত্তিক কাজে। ব্যক্তি, পরিবার, সামাজিক পর্যায়ে ও কর্মক্ষেত্রে দৈনন্দিন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় বাংলা ভাষার প্রতি অনেক ক্ষেত্রে যথাযোগ্য সম্মান, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা তো প্রকাশ পায়ই না, কোনো কোনো সময় অবজ্ঞার ভাবই ফুটে ওঠে। আধুনিক বা অতি আধুনিক হওয়ার জন্য শহরে বসবাসকারী কারও কারও দ্বারা ইদানীং যে বিষয় ও মূল্যবোধগুলো প্রথমেই আক্রান্ত হয়, বাংলা ভাষা সেগুলোর শীর্ষে। আমাদের সন্তানসন্ততি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়বে, অনর্গল ইংরেজি বলতে পারবে, এটা তো আমাদের জন্য আনন্দ ও গর্বের বিষয়; তবে তা অবশ্যই বাংলা ভাষকে অবমূল্যায়ন করে নয়। অনেক অভিভাবককে অহরহ বলতে শুনি-‘আমার সন্তান তো বাংলা জানে না।’ এ ‘জানে না’ বলার মধ্যে এক ধরনের গর্ববোধ ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা থাকে। হ্যাঁ, ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ঠিকভাবে বাংলা পড়ানো হয় না বলে অনেকেই ভালোভাবে বাংলা লিখতে ও পড়তে পারে না। কিন্তু ‘বাংলা জানে না’ বলার মধ্যে গর্ব করার কিছু নেই। গালভরে বলারও কোনো বিষয় নয় এটি। এ ‘বাংলা জানে না’ বাক্যটি প্রয়োগ করে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়-যেহেতু ‘বাংলা জানে না’, সেহেতু ওরা ‘ইংরেজির পণ্ডিত’। হায়রে আমাদের মানসিকতা! এদেশের আলো-বাতাসে বেড়ে উঠে যারা বাংলা লিখতে, পড়তে জানবে না, তারা কীভাবে দেশের মা-মাটি-মানুষের হৃৎস্পন্দন অনুভব করবে? কোন যোগ্যতা নিয়ে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবে? তাদের মধ্যে কীভাবে দেশের প্রতি মমত্ববোধ আসবে? বাংলা না জানা ওইসব ছেলেমেয়েকে দোষ দেওয়ার কিছু নেই। দোষ তাদের অভিভাবকদের, তারা হলেন হতভাগা। আমাদের একুশের চেতনা হতে পারে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোর বাংলা বিষয়ের পাঠ্যসূচি সরকারি তত্ত্বাবধানে এমনভাবে প্রণয়ন করা, যেন শিক্ষার্থীরা অন্তত বাংলা লেখা ও পড়ার মতো যোগ্যতা অর্জন করতে পারে, হতভাগ্য অভিভাবকের সংখ্যা কমানো যেতে পারে। এ সমাজের শিক্ষিত লোকজনের মধ্যে কৌলীন্য ধরে রাখার জন্য ইংরেজির প্যাঁচানো ও দুর্বোধ্য অক্ষরে ভাইবোন, সন্তানের বিয়ের কার্ড তৈরি অনেকটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। এ মিথ্যা অহমিকা থেকে আমরা কবে বের হয়ে আসতে পারব? ফেসবুকের কল্যাণে বাংলা ভাষায় অনেকের দুর্বলতার বিষয়টি প্রকাশ পাচ্ছে। ভুল বানানে বাংলা লেখা অনেকটা চর্চায় পরিণত হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর স্ক্রলের দিকে তাকালে বোঝা যায় কত অযত্ন, অবহেলা, অজ্ঞতার সঙ্গে শব্দ ও বাক্যগুলো লেখা হচ্ছে। প্রাইভেট রেডিওগুলোয় ইংরেজি বাংলা মেশানো উদ্ভট উচ্চারণের বাক্যালাপে আতঙ্কিত না হয়ে উপায় থাকে না। সারা বছরের জন্য আমাদের একুশের চেতনা হতে পারে শুদ্ধভাবে এবং শুদ্ধ উচ্চারণে বাংলা বলা ও লেখা। আমাদের সরকারি দপ্তর ও কর্মপ্রতিষ্ঠানগুলোয় বাংলায় ‘নোটিং’, ‘ফাইলিং’ ও চিঠিপত্রের যোগাযোগ চালু হয়েছে বহু আগেই। ইংরেজি চর্চার সরাসরি ও সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা নেই। ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা সবার সন্তোষজনক পর্যায়ে নেই। তারপরও কোনো বিদেশি অতিথি বা অংশগ্রহণকারী থাকুক বা না থাকুক, অনেক সময় সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ইংরেজি ভাষায় পরিচালনা করা হয়। ফলে অনেক অংশগ্রহণকারী ভাষাগত সীমাবদ্ধতার কারণে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও যথাযথ অবদান রাখতে পারে না। প্রশ্ন হলো, আমাদের লক্ষ্য কি ওইসব অনুষ্ঠান থেকে সর্বোত্তম ফল বের করে আনা, নাকি ইংরেজিতে উপস্থাপনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের স্মার্টনেস ধরে রাখা? কেউ যদি ইংরেজি বলতে পারে, তাহলে দাপ্তরিক কাজকর্মে তার দক্ষতার বাছবিচার ছাড়াই আমরা খুব দ্রুত সিদ্ধান্তে চলে আসি-‘অমুক কিন্তু চোস্ত অফিসার’। আমাদের অফিসপাড়াগুলোয় আরেকটা কথা চালু আছে-দুকলম ইংরেজি লিখতে পারে না, আবার অফিসার হয়েছে। এ চিত্র হরহামেশা চোখে পড়ে। আমাদের এ ধরনের মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সরকারি চিঠিপত্রে গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জির সঙ্গে বঙ্গাব্দের সন-তারিখ লিখলেই আমাদের দায়িত্ব শেষ হবে না, দাপ্তরিক কার্যক্রমের সব ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার প্রয়োগ ঘটাতে হবে। আরেকটি বিষয় অত্যন্ত জরুরি ও ভীষণভাবে ফয়সালার দাবি রাখে, তা হলো সর্বস্তরে বাংলা চালুর এ প্রক্রিয়ায় ইংরেজি ভাষার অবস্থান ও প্রবেশাধিকার কতটুকু থাকবে। একজন ইংরেজ বা ইংরেজি যার মাতৃভাষা, সে তার ভাষায় জ্ঞানচর্চায় যাবতীয় বই, রেফারেন্স বই, জার্নাল সবকিছুই পাচ্ছে। বাংলা ভাষায় কিন্তু ওই সুযোগ এখনো সৃষ্টি হয়নি। একজন জাপানি, রুশ, ফরাসি, জার্মান ভাষাভাষী ব্যক্তি ইংরেজি না জেনেও নিজ ভাষায় সর্বোচ্চ পর্যায়ের গবেষণা করতে পারছে। আমরা কিন্তু ওই স্তরে এখনো পৌঁছাতে পারিনি। তারপরও উচ্চশিক্ষার অনেক বিষয়ে বাংলা ভাষায় লেখাপড়া করা যাচ্ছে, কর্মজীবনে দাপ্তরিক কাজকর্ম বাংলা ভাষায় সম্পন্ন করা যাচ্ছে, ইংরেজি চর্চার খুব একটি প্রয়োজন পড়ছে না। ফলে যখন বিদেশিদের সঙ্গে দাপ্তরিক কাজকর্মের আলোচনা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ইংরেজিতে কথা বলার দরকার হচ্ছে, তখন নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা যাচ্ছে না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জনবল প্রেরণে সমযোগ্যতাসম্পন্ন হয়েও ইংরেজিতে দুর্বলতার জন্য অন্যান্য দেশ বিশেষত ভারত, শ্রীলংকা, ফিলিপাইনের সঙ্গে পেরে ওঠা যাচ্ছে না। ওই দেশগুলোর ক্লিনার, ডে-লেবারার, সেলসম্যানসহ প্রায় সবাই কাজ চালিয়ে নেওয়ার মতো ইংরেজি জানে ও বলতে পারে। আমরা কি বাংলা ও ইংরেজি অন্তত এ দুটি ভাষা শিখতে পারি না? ভারতে যাদের মাতৃভাষা হিন্দি নয়, তারা তিনটি ভাষায় কথা বলতে পারে। সর্বস্তরে বাংলা চালু রেখেও বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে ইংরেজিতে কথা বলা ও লেখার ন্যূনতম একটি পর্যায়ে নিয়ে আসার উপায় নির্ধারণের বিষয়টি মাথায় রাখা যেতে পারে। কোনো জাতির শ্রেষ্ঠত্ব আদায়ে শৌর্যেবীর্যে শীর্ষস্থান দখলের জন্য জ্ঞানচর্চাই হলো অন্যতম পথ। জ্ঞানচর্চায় সেরা হওয়া গেলে অন্যান্য ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের আসনটি আপনাআপনি এসে হাজির হয়। হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে ইসলামের বিজয়কেতন ওড়ার পর তা ধরে রাখার জন্য সবার আগে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল জ্ঞানচর্চার ওপর। গ্রিক, রোমান ও ভারতীয় সভ্যতার উল্লেখযোগ্য এমন কোনো রচনা অবশিষ্ট ছিল না, যা মুসলিম মনীষীদের দ্বারা অনূদিত হয়নি। বাংলা ভাষায় সার্বিক জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রটিকে আমরা এখনো বিস্তৃত করতে পারিনি। বিজ্ঞান, শিল্পকলা, সাহিত্য, অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতিসহ সব শাখায় বাংলা ভাষায় লিখিত বা অনূদিত বইয়ের জোগান দিতে পারিনি গবেষক, চিন্তক ও জ্ঞানপিপাসুর জন্য। বিশ্বসভ্যতার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ইতিহাসের ধারাবাহিক সংকলন কোথায়? ৭০০ থেকে ১৫০০ সাল পর্যন্ত জ্ঞানবিজ্ঞানের মশাল হাতে নিয়ে মুসলিম মনীষীরা সমগ্র পৃথিবীকে আলোর পথ দেখিয়েছেন, সেসব মনীষীর গবেষণাকর্মের অনূদিত সংস্করণ কোথায়? চিকিৎসাশাস্ত্রে ইবনে সিনার রচনাসমগ্র ‘কানুন’ পাঁচশ বছরব্যাপী ইউরোপের সব মেডিকেল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের প্রধান পাঠ্যপুস্তক এবং যে কোনো জিজ্ঞাসার চূড়ান্ত ফয়সালা হিসাবে বিবেচিত হতো, সেই রচনাসমগ্রের অনুবাদকর্ম আমাদের কাছে নেই। মুসলিম মনীষীদের রেখে যাওয়া অবদান এবং সাতশ বছরের ইসলামি সভ্যতার নির্যাসের ওপর ভর করেই মূলত ইউরোপীয় রেনেসাঁস ও আধুনিক সভ্যতার উন্মেষ ঘটেছে। ইতিহাস তা-ই বলে। লেখাপড়া ছাড়া জ্ঞানের সীমা বৃদ্ধি পায় না আর মাতৃভাষা ছাড়া ভিন্ন ভাষায় জ্ঞানচর্চা অনেক ক্ষেত্রে পরিপূর্ণতা পায় না বলেই হয়তো কবি বলেছেন, ‘বিনা স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা?’ অপরিপূর্ণ জ্ঞান নিয়ে বিশ্বচরাচরের তুমুল প্রতিযোগিতায় নিজের অস্তিত্বের জানান দেওয়া যায় না। প্রতিবছর পৃথিবীর বড় বড় লেখক, গবেষক, বিজ্ঞানীদের যেসব প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হচ্ছে; সাহিত্য, চিকিৎসা, অর্থনীতি, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে প্রতিবছর যারা নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন, তাদের অবদানের বাংলায় অনূদিত সংকলন আমাদের নেই। দু-একজন অনুবাদকের বিচ্ছিন্ন ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে দু-চারটা বইয়ের অনুবাদ দিয়ে সব শ্রেণির গবেষক, চিন্তক, সংস্কারকের জ্ঞানতৃষ্ণা মেটানো যাবে না। আমাদের অনুবাদকর্মের ওপর জোর দিতে হবে। অনুবাদকর্মে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে। এজন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক ও সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ। আমেরিকার লাইব্রেরি অব কংগ্রেস, ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন, স্টানফোর্ড ইউনিভার্সিটিসহ উন্নত দেশগুলোর অনেক প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন ভাষায় লিখিত পুরোনো আমলের বই ও গবেষণাকর্ম মাতৃভাষায় অনুবাদ করে যাচ্ছে। তরুণ প্রজন্মকে বিশ্বের জ্ঞানভান্ডারের সঙ্গে পরিচিত করার জন্য ৯ম শতকের বাগদাদের বায়তুল হিকমার মতো আরেকটি লাইব্রেরি ও অনুবাদকেন্দ্র আমাদের প্রতিষ্ঠা করা দরকার। একুশ শতকে আমাদের একুশের চেতনা হতে পারে পৃথিবীর তাবৎ ভালো পুস্তক, রচনা, প্রকাশনার বাংলায় নিয়মিত অনুবাদের জন্য একটি প্রতিষ্ঠান। ভাষাকে তার চলার পথে অনেক কিছু অঙ্গীভূত করেই এগিয়ে যেতে হয়। কার্যকর ভাষা হিসাবে এর প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হয়। দীর্ঘদিনের চর্চিত যে শব্দ, শব্দগুচ্ছ মানুষ গ্রহণ করে নিচ্ছে, যা আমাদের মুখের ভাষায় পরিণত হচ্ছে, সেগুলো নিয়ে বিরোধের কোনো কারণ নেই। ভাষাকে গতিময় ও শ্রুতিমধুর করতে প্রতিনিয়ত দৈনন্দিন ব্যবহারযোগ্য শব্দসংখ্যা বাড়াতে হয়, নতুন নতুন শব্দকে জায়গা করে দিতে হয়। ইংরেজি ভাষায় নিয়মিত নতুন শব্দ যুক্ত হচ্ছে। একটি শব্দের একাধিক প্রতিশব্দ প্রকৃতপক্ষে ভাষার শ্রীবৃদ্ধিই ঘটিয়ে থাকে। অনুবাদকর্মের নিত্যনতুন সংযোজন ভাষাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও পরিধি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কোনো ভাষা জ্ঞানতৃষ্ণা মেটানোর স্বয়ংসম্পূর্ণ মাধ্যম হতে না পারলে প্রয়োজনীয়তা হারিয়ে ফেলে। পৃথিবীর বহু ভাষাই তার উপযোগিতা হারিয়ে কালের গর্ভে নিঃশেষ হয়ে গেছে। আমাদের কাজকর্মে, আচরণে ও ইঙ্গিতে বাংলা ভাষার প্রতি সৎ ও দায়িত্বশীল থাকতে হবে। ভাষাকে আরও সমৃদ্ধ ও বিস্তৃত করার চেষ্টায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে হবে। সবার শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টায় বিশ্বের শীর্ষ ভাষায় পরিণত হোক আমার প্রিয় বাংলা ভাষা। সালাহ্ উদ্দিন নাগরী : কলাম লেখক snagari2012@gmail.com