কালভার্ট আছে, রাস্তা নেই
অনলাইন নিউজ ডেক্স

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের একটি কালভার্টের এক পাশে সংযোগ সড়ক থাকলেও অন্য পাশে কৃষিজমি। এতে স্থানীয় জনসাধারণের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। তবে জমির মালিকের দাবি, তাঁর অনুমতি না নিয়েই কালভার্টটি করা হয়েছে। সম্প্রতি মো. সোলায়মান নামে এক ব্যবসায়ী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে এ বিষয়ে অভিযোগ দেন।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৪৪ টাকা ব্যয়ে উপজেলার গোবরিয়া-আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গাবতলী খালের ওপর কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। কালভার্টটি নির্মাণের পর চলাচলের পথ তৈরি করা হয়নি। স্থানীয় কৃষকরা জানান, কালভার্ট থেকে ফসলি মাঠে ওঠানামা করতে অনেক কষ্ট হয়। বৃষ্টি হলে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।স্থানীয় লক্ষ্মীপুর মধ্যপাড়া গ্রামের কৃষক গোলাপ মিয়া, বকুল মিয়া, ছিদ্দিক আলী, হাকিম উদ্দিন জানান, কালভার্ট নির্মাণ করা হলেও রাস্তা না থাকায় চাষের ট্রাক্টর নিয়ে মাঠে যাওয়া যায় না।কৃষক নুরুল ইসলাম (৫৫) বলেন, মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনা করে ৫ হাজার টাকা খরচ করে কালভার্টের গোড়ায় মাটি ভরাট করে দিয়েছিলাম। কিন্তু কালভার্টের পাশের জমির মালিক মাটি সরিয়ে ফেলেছেন; এ কারণে ওঠানামায় কষ্ট হচ্ছে কৃষকের।
মো. সোলায়মান জানান, তিনি নারায়ণগঞ্জে ব্যবসা করেন। বাড়িতে সব সময় আসেন না। কালভার্টটি রজব আলী নামে এক ব্যক্তির জমির পাশে নির্মাণ করার কথা। কিন্তু প্রায় ২০০ গজ দূরে তাঁর জমির ওপর করা হয়েছে। তাই তিনি অভিযোগ দিয়েছেন। তবে মাটি নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. ওমর ফারুক বলেন, কালভার্ট নির্মাণের বিষয়ে জানেন না তিনি। তবে রাস্তার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রস্তাবনা এলে তা করে দেওয়া হবে।
