কুষ্টিয়ায় দুই দলেই প্রার্থীর ছড়াছড়ি


কুষ্টিয়ায় দুই দলেই প্রার্থীর ছড়াছড়ি
কুষ্টিয়ার চারটি আসনে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জাসদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এরই মধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকা বেশ দীর্ঘ। মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের পাশাপাশি এলাকায় নেতা-কর্মীদের সময় দিচ্ছেন তারা। একসময়ের বিএনপির শক্ত ঘাঁটি কুষ্টিয়া। দীর্ঘদিন এখানকার সবকটি আসনই তাদের দখলে ছিল। কিন্তু বিএনপির সেই দুর্গ এখন আর নেই। পরপর তিনটি সংসদ নির্বাচনে এখানে আওয়ামী লীগ এবং তাদের শরিক ১৪ দল সব আসন ধরে রেখেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন দল জেলার চারটি আসনেই যে কোনো উপায়ে জয়লাভের জন্য মরিয়া।অন্যদিকে বিএনপি নেতা-কর্মীরাও তাদের দুর্গ পুনরুদ্ধারে বদ্ধপরিকর। চারটি আসনেই উভয় দলের একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী। এর মধ্যে দুটি আসনে আওয়ামী লীগ ও তাদের শরিক ১৪ দলের দুই হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন। বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেবে কি না তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকলেও ভিতরে ভিতরে প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে কুষ্টিয়ার চারটি আসনেই নির্বাচন হবে প্রতিযোগিতামূলক।কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) : ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী আলতাফ হোসেনকে পরাজিত করে এ আসনে এমপি হন দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফাজ উদ্দিন আহমেদ। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও তিনি দলীয় মনোনয়ন পান। কিন্তু দলের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী আনারস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন। ওই নির্বাচনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি আর দ্বন্দ্ব চলছে।সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে বিএনপি প্রার্থী আলতাফ হোসেনকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য হন আ ক ম সরওয়ার জাহান বাদশা। একাধিক ভাগে বিভক্ত এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে বর্তমান এমপি ছাড়াও দলের অনেক নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী। তারা হলেন- প্রয়াত সংসদ সদস্য আফাজ উদ্দিনের ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ মামুন, সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল হক চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন রিমন, সাবেক অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনছার আলী খান, আওয়ামী লীগ নেতা ড. মোফাজ্জেল হক।অন্যদিকে বিএনপি থেকে দলের উপজেলা সভাপতি সাবেক এমপি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলতাফ হোসেন ও রমজান আলী দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি (এরশাদ) থেকে সাবেক খাদ্য প্রতিমন্ত্রী কোরবান আলীর ছেলে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার জামিল জুয়েল এলাকায় নিজের মতো প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।কুষ্টিয়া-২ : (মিরপুর-ভেড়ামারা) : ক্ষমতাসীন জোটের দুই হেভিওয়েট প্রার্থী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপির বাড়ি এ নির্বাচনী এলাকায়। জোটের স্বার্থে ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ আসনটি ছেড়ে দিতে হয় শরিক দল জাসদকে। নৌকা প্রতীক নিয়ে এ আসনে প্রথমবারের মতো এমপি হন হাসানুল হক ইনু। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হন ইনু।কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। প্রভাবশালী ওই দুই নেতার সমর্থকদের দ্বন্দ্ব-বিবাদে মাঝেমধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকার রাজনীতি। দ্বন্দ্ব-কোন্দলের জেরে উভয় দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে একাধিকবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও ঘটেছে। ১৪-দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে এবারের নির্বাচনে হাসানুল হক ইনুর পাশাপাশি আরও কয়েকজন দলীয় মনোনয়ন পেতে এলাকায় গণসংযোগসহ নানান সামাজিক কর্মকা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ আসনে মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক একাধিকবার নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন ছাড়াও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সাবেক দুই অধ্যক্ষ বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর ডা. ইফতেখার মাহমুদ এবং কুষ্টিয়া নাগরিক কমিটি ও বিএমএর জেলা সভাপতি প্রফেসর ডা. এস এম মুসতানজীদ দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে। এই দুই চিকিৎসক নির্বাচনী এলাকায় নানান সামাজিক কর্মকা পরিচালনা করছেন।অন্যদিকে বিএনপি জোটের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন ছাড়াও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও এমপি অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির দুই সদস্য ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী ও ফরিদা ইয়াসমিনের নামও শোনা যাচ্ছে।কুষ্টিয়া-৩ (কুষ্টিয়া সদর) : জেলার চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর ও ইবি থানা এবং পৌর এলাকা নিয়ে গঠিত কুষ্টিয়া-৩ আসনটি জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন। বর্তমানে এ আসনের এমপি আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। ২০০৮ সালের আগ পর্যন্ত এ আসনটি ছিল বিএনপির দখলে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন ১৪-দলীয় জোটের প্রার্থী কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার রশিদুজ্জামান দুদু।আগামী নির্বাচনে বিএনপি চাইবে তাদের হারানো আসনটি পুনরুদ্ধার করতে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগও মরিয়া থাকবে আসনটি ধরে রাখতে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা মাহবুব-উল আলম হানিফ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। গত নির্বাচনেও তিনি এমপি হন। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, দৈব কোনো ঘটনা না ঘটলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও হানিফের মনোনয়ন লাভের বিষয়টি এক প্রকার নিশ্চিত।তবে হেভিওয়েট প্রার্থী হানিফ ছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বিএমএ জেলা সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ডা. এ এফ এম আমিনুল হক রতন। বিএনপি থেকে এ আসনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন এবং জেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক ও সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার মনোনয়ন চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে। জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নাফিজ আহমেদ খান টিটু। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ ইনু) প্রার্থী জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।কুষ্টিয়া-৪ : (কুমারখালী-খোকসা) : কুমারখালী ও খোকসা উপজেলা নিয়ে গঠিত কুষ্টিয়া-৪ আসনটি আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে এখান থেকে এমপিএ নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক গোলাম কিবরিয়া। ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে তিনি এমপি হন। কিন্তু এমপি থাকা অবস্থায় ’৭৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীদের হাতে নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার হন তিনি। ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন আবদুল আওয়াল।২০০১ সালের নির্বাচনে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে এ আসনে পরাজিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ গোলাম কিবরিয়ার পুত্রবধূ সুলতানা তরুণ। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনে সুলতানা তরুণ জয়লাভ করেন। আবার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রউফ এ আসন থেকে এমপি হন। সর্বশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি হন গোলাম কিবরিয়ার নাতি ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ।বর্তমান সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ ছাড়াও এ আসন থেকে প্রায় হাফডজন নেতা দলের মনোনয়ন চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে। এরা হলেন- আওয়ামী লীগের দুই সাবেক এমপি আবদুর রউফ ও সুলতানা তরুণ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সদর উদ্দিন খান, মুক্তিযুদ্ধের সময় জেলা মুজিব বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাহিদ হোসেন জাফর ও কুমারখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল মান্নান খান।অন্যদিকে বিএনপি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দুবারের নির্বাচিত সাবেক এমপি ও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ছাড়াও কুমারখালী পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্মসম্পাদক নুরুল ইসলাম আনসার প্রামাণিকের নাম শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ ইনু) থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জাসদের কেন্দ্রীয় যুগ্মসাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকনের নাম শোনা যাচ্ছে।

সর্বশেষ :

সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক   সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী   সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার   গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প   ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা   রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।  এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*।  ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে।  আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫।  এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে।  রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের  অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি:  উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।  বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।   টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে। অভিষেকেই ইতিহাস, ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের বিশ্বরেকর্ড   অভিষেকেই ইতিহাস, ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের বিশ্বরেকর্ড যেভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন   যেভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন