তিনি গুণীজন, শুধু এটুকু বিবেচনায় তার বিরুদ্ধে মামলা করলাম না: হিরো আলম


তিনি গুণীজন, শুধু এটুকু বিবেচনায় তার বিরুদ্ধে মামলা করলাম না: হিরো আলম
সম্প্রতি নাট্যকার মামুনুর রশীদ সমধিক আলোচিত ইউটিউবার হিরো আলমকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। এ নাট্যকারের মন্তব্যর পর পরই দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়ের বন্যা শুরু হয়। শুধু তাই নয়, টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়। পরে লাইভে এসে ক্ষোভ ও অভিমানও প্রকাশ করেন হিরো আলম। লাইভে আত্মহত্যারও হুমকি দেন এ ইউটিউবার। আজ সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সঙ্গে কথা হয় হিরো আলমের। কথা বলেছেন মানিক রাইহান বাপ্পীনাট্যকার মামুনুর রশীদ বলেছেন— ‘আমরা একটা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়েছি। সেখান থেকে হিরো আলমের মতো একজন মানুষের উথান হয়েছে। এমন কথায় কষ্ট বা ব্যথিত হয়েছেন কিনা?হিরো আলম: অবশ্যই কষ্ট পেয়েছি। তাদের মতো লোক আমাদের সহযোগিতা না করে ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন। তাকে তো কারও ব্যাপারে বাজে মন্তব্য করার অধিকার দেওয়া হয়নি। আমি এতটাই কষ্ট পেয়েছি যে, আমি নাকি বাংলাদেশের একমাত্র কাঁটা। তার মতে, আমি যদি একমাত্র কাঁটা হয়ে থাকি, তা হলে দুনিয়া ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত আমার।প্রথিতযশা এ নাট্যকারের মন্তব্যের পর সচেতন মহলের একটা অংশ আপনার পক্ষে কলম ধরেছেন। এটাকে আপনি কীভাবে দেখছেন?হিরো আলম: আমাদের দেশের এলিট শ্রেণির মধ্যে ভাগ আছে। যারা নিজ যোগ্যতায় বড় হয় তারা আমার দুঃখ বোঝে। যারা পৈতৃক সূত্রে বড় হয়, তারা এগুলোর মর্ম বোঝে না। আমাকে যারা সমর্থন করছে, তারা কষ্ট করে নিজ যোগ্যতায় দাঁড়ানো মানুষ এবং সৎমানুষ। আমি তো কারও ক্ষতি করছি না। আমি কাউকে প্রতিযোগী বা প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবি না। যারা আমার পক্ষে নিয়ে প্রতিবাদ করছেন তারা সত্যের প্রতিবাদ করছেন। আমি যদি সঠিক পথে না থাকতাম, তা হলে আমার পক্ষে তারা দাঁড়াতেন না।কারো নেতিবাচক মন্তব্যের কারণে আপনার কোনো সম্মানহানি হয়েছে কিনা?হিরো আলম: শুধু আমার সম্মানহানি হয়নি, আমাকে প্রচণ্ড কষ্ট দিয়েছে উনার এ মন্তব্য। এ সম্মানহানির ব্যাপারে এখনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা আপাতত নেই। তিনি গুণীজন, তাকে আমি সম্মান করি। শুধু এটুকু বিবেচনা করে তার বিরুদ্ধে মামলা করলাম না।তবে ভবিষ্যতে কেউ যদি আমার বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করে এবং কথার মধ্যে সীমা অতিক্রম করে, তা হলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেব।বিভিন্ন সময় বিভিন্নজন আপনাকে নেগেটিভভাবে উপস্থাপন করে। এতে আপনি হতাশ কিংবা বিরক্ত হন কিনা? বা স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে কিনা?হিরো আলম: কেউ কিছু বললে হতাশা কাজ করলেও সেটি আমি নিজের ভেতরে নিয়ে আসি না। আমি মাথায় রাখি—কে কী বলল সেটি না ভেবে, আমাকে কাজ করতে হবে। কাজের মধ্যে থাকার চেষ্টা করি। তবে কিছু কিছু মন্তব্য আমার স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত ঘটে। তারা মূলত আমার কাজে বাধা সৃষ্টি করতে চায়। আমার কাজের প্রতি দর্শকদের যে আগ্রহ সেটি কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এজন্য বিভিন্ন সময় আমাকে নিয়ে তাদের মাথাব্যথা।বর্তমানে কী কাজ নিয়ে ব্যস্ততা। ভবিষ্যতে সিনেমা করার ইচ্ছা আছে কিনা? হিরো আলম: বর্তমানে কিছু ইসলামি গানের কাজ চলছে। সেটি নিয়ে ব্যস্ত আছি। ইতোমধ্যে সাতটি সিনেমা করেছি। ভবিষ্যতে আরও করব।ভবিষ্যতে সিনেমা করলে কোন নায়িকার সঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনা আছে? হিরো আলম: সব নায়িকার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক। সবার সঙ্গে কাজ করব।বর্তমান সময়ের আলোচিত চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী, অপু বিশ্বাস, পরীমনির সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা আছে কিনা?হিরো আলম: সবার সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা আমার। কারণ তাদের থেকে আমার যোগ্যতা কোনো অংশেই কম নয়। তাদের সঙ্গে কাজ করার যোগ্যতা আছে আমার। তবে আমাদের সমাজের একশ্রেণির লোকেরা তাদের সঙ্গে কাজ করে দেওয়ার সুযোগ করে দেয় না। যখনই কোনো নায়িকার সঙ্গে কাজ করার চুক্তি করি, পরে কিছু মানুষ তাদের ধুয়ে দেয়। এই বলে যে, আপনি এ গ্রেডের নায়িকা— কেন হিরো আলমের সঙ্গে কাজ করতে যাবেন। তখন তারা পিছুটান দেয়। আমি মনে করি তাদের যোগ্যতা আমার যোগ্যতা কোনো অংশেই কম নয়।সামনে যে সিনেমা বানাবেন, সেখান কোন কোন নায়িকাকে রাখবেন? হিরো আলম: ভবিষ্যতে যে সিনেমা করব সেখানে বুবলী, অপু বিশ্বাস, পরীমনি, মাহিয়া মাহিকে রাখব।

সর্বশেষ :

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।  এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*।  ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে।  আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫।  এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে।  রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের  অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি:  উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।  বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।   টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে। অভিষেকেই ইতিহাস, ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের বিশ্বরেকর্ড   অভিষেকেই ইতিহাস, ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের বিশ্বরেকর্ড যেভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন   যেভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন মার্কিন-ইসরায়েলি ত্রাণকেন্দ্রে খাবার নিতে এসে নিহত ৭৪৩ ফিলিস্তিনি   মার্কিন-ইসরায়েলি ত্রাণকেন্দ্রে খাবার নিতে এসে নিহত ৭৪৩ ফিলিস্তিনি আফগানদের ইরান ছাড়ার শেষ দিন আজ, কাল থেকে গ্রেপ্তার   আফগানদের ইরান ছাড়ার শেষ দিন আজ, কাল থেকে গ্রেপ্তার নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সোমবার থেকে এনসিটি চালাবে ড্রাইডক   নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সোমবার থেকে এনসিটি চালাবে ড্রাইডক রেস্ট হাউজে ‘নারীসহ’ ওসিকে আটকে ‘চাঁদাবাজির’ অভিযোগ   রেস্ট হাউজে ‘নারীসহ’ ওসিকে আটকে ‘চাঁদাবাজির’ অভিযোগ সাজা মাথায় নিয়ে ঘুরছিলেন ধামাকার চেয়ারম্যান মোজতবা আলী   সাজা মাথায় নিয়ে ঘুরছিলেন ধামাকার চেয়ারম্যান মোজতবা আলী