পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে শুল্ক কমানোর দাবি


পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে শুল্ক কমানোর দাবি
রমজানে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানি পণ্যের শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা। আজ বৃহস্পতিবার নগরীর আগ্রাবাদ হোটেলে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের কাছে এ দাবি জানানো হয়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিএমসিসিআই) এ সভার আয়োজন করে। করোনা-পরবর্তী চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পোশাকশিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। শিল্পের এই ক্ষতি উত্তরণে আগামী বাজেটে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে কর ও শুল্ক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে– আমদানি উপকরণের ক্ষেত্রে অগ্রিম কর শূন্য হারে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে দুই শতাংশ হারে পুনর্নির্ধারণ, ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) খাতের করহার ৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে দুই শতাংশ করা, তৈরি পোশাকে আয়ের ওপর উৎসে কর এক শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৩ শতাংশ নির্ধারণ, কোম্পানি আইনের ৩৫ ধারা অনুযায়ী কোম্পানির কর নির্ধারণ নিরীক্ষা প্রতিবেদনকে তথ্যের চূড়ান্ত উৎস হিসেবে প্রাধান্য দেওয়া, ধারা ৮৪ মোতাবেক অনুমাননির্ভর কর ধার্য বন্ধ করা ও প্রাইভেট আইসিডির ক্ষেত্রে ভারী সরঞ্জাম বা মেটেরিয়াল হ্যান্ডেলিং ডিভাইস আমদানি শুল্কের হার কমিয়ে আনা। সভায় সিএমসিসিআই সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি হলো শিল্পোন্নয়ন। রপ্তানি খাতে পোশাকশিল্প দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখছে। করোনা-পরবর্তী এবং চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অন্যান্য শিল্পের মতো এ শিল্পও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই শিল্পকে ক্ষতি থেকে উত্তরণে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে কর ও শুল্ক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন-পরিবর্ধন আবশ্যক বলেও জানান তিনি। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, যেসব প্রস্তাবনা এসেছে তার সব বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তবে ভবিষ্যতে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে আগামীতে বিষয়গুলো বিবেচনা করা হবে। দেশ থেকে বিদেশে অনেক পোশাক রপ্তানি হলেও আমাদের নিজস্ব জনপ্রিয় ব্র্যান্ড নেই। পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর এ বিষয়ে গবেষণা ও ব্র্যান্ডিং করা উচিত। সভায় আলোচনায় অংশ নেন এনবিআর সদস্য মো. মাসুদ সাদিক, ড. সামস উদ্দিন আহমেদ ও জাকিয়া সুলতানা, সিএমসিসিআই সহসভাপতি এএম মাহবুব চৌধুরী, পরিচালক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরী, এম এ মালেক, মো. শফি, এম সোলায়মান, অজিত কুমার দাশ এবং জিরি সুবেদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদ ফেরদৌস।