পশ্চিমবঙ্গে সেনার ফায়ারিং রেঞ্জে হাতির পাল!


পশ্চিমবঙ্গে সেনার ফায়ারিং রেঞ্জে হাতির পাল!
তিস্তার চরে ভারতীয় সেনার ফায়ারিং রেঞ্জে সেনা প্রশিক্ষণ চলাকালে ঢুকে পড়েছিল বন্য হাতির পাল। পরে পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ার্সের সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকায় পাওয়া যায় তিনটি হাতির রক্তাক্ত মরদেহ। খোঁজ মিলেছে একাধিক আহত হাতিরও। এমন ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বন বিভাগে।সূত্রের খবর, গত ১৩ মার্চ তিস্তা চরের ফায়ারিং রেঞ্জে প্রশিক্ষণ চলছিল ভারতীয় সেনার। এ সময় ফায়ারিং রেঞ্জের কাছাকাছি চলে আসায় গুলিবিদ্ধ হয় একের পর এক বন্য হাতি।বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পরদিন ১৪ মার্চ মঙ্গলবার শিলিগুড়ি সংলগ্ন সালুগাড়া রেঞ্জে একটি ১২ বছরের হাতির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার হয়। এরপর ১৫ মার্চ উদ্ধার হয় আরও দুটি হাতির মরদেহ। একটি হাতির মরদেহ উদ্ধার হয় বৈকুণ্ঠপুর ফরেস্ট ডিভিশনের অন্তর্গত তারঘেরা রেঞ্জে। অন্যটির মরদেহ উদ্ধার হয় সাত মাইল রেঞ্জে। মরদেহগুলো উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। স্থানীয়দের দাবি, আরো কয়েকটি হাতি ওই ঘটনায় জখম হয়েছে। বনের বিস্তীর্ণ এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের দেখা গেছে। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বন কর্মকর্তাদের মধ্যে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। ইতোমধ্যে জখম হাতিগুলোর সন্ধানে শুরু হয়েছে জঙ্গলজুড়ে তল্লাশি। মৃত উদ্ধার হওয়া হাতি দুটির মধ্যে সাত মাইলের হাতিটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী হাতি বলে জানা গেছে।বন দপ্তরের দাবি, ফায়ারিং রেঞ্জে ঢুকে যেতেই সেনার বোমার সেল ফেটে স্প্লিন্টার লাগে হাতিগুলোর শরীরে। মৃত হাতি দুটির শরীরেও মিলেছে স্প্লিন্টারের ক্ষত। ময়নাতদন্তের সময় হাতি দুটির শরীর থেকে বোমার স্প্লিন্টারের অংশ উদ্ধার হয়েছে।বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে গোটা রাজ্যে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বন দপ্তরের ভূমিকা নিয়েও। এমন পরিস্থিতিতে পুরো ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন বন কর্মকর্তারা।