প্রকাশিতঃ ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩
৭:৫৩ পূর্বাহ্ণ

আন্তর্জাতিক

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।  এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*।  ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে।  আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫।  এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে।  রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের  অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি:  উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।  বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।

আরও খবর

পাহাড়ের পাদদেশে তৈরি হচ্ছে নতুন কবরস্থান


পাহাড়ের পাদদেশে তৈরি হচ্ছে নতুন কবরস্থান
মৃতদেহের স্তূপ বেড়েই চলছে। একের পর এক নতুন কবরস্থান নির্ধারণ করে কবর দেওয়া হচ্ছে ভূমিকম্পে প্রাণ কেড়ে নেওয়া মানুষদের।গণকবরেও ঠাঁই নেই। নতুন কবরস্থানেও সংকুলান হচ্ছে না। পাহাড় কেটে কিংবা পাহাড়ের পাদদেশে দাফন করা হচ্ছে মানুষদের।মূল শহরের কবরস্থানগুলো আগেই ভর্তি হয়ে গেছে। শহর থেকে ২০০ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সারি সারি লাশ এক ফুটের কম দূরত্বে কবর দিতে দেখা গেছে। এমনটা শুধু তুরস্কের আদিয়ামান প্রদেশেই নয়, বাকি নয়টি প্রদেশের চিত্র ঠিক এমনই।সরেজমিন গত ৩ দিন অন্তত নয়টি কবরস্থান ঘুরে দেখা গেছে সারি সারি কবর। কবর ঘিরে স্বজনদের আর্তনাদ, বিলাপ।কারণ এসব গণকবরে যাদের কবর দেওয়া হয়েছিল, তাদের অনেক স্বজন তাৎক্ষণিক সময়ে উপস্থিত ছিলেন না। প্রিয় মানুষটির কবরের ওপর লুটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। কেউ উঁচুনিচু কবরটি ঠিক করছিল। এমন দৃশ্য কবরস্থানে থাকা কর্মীদের আবেগপ্রবণ করে তুলছিল।সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী আদিয়ামান উপশহরে প্রায় পৌনে সাত হাজার মানুষদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।যাদের অধিকাংশকে গণকবরে সমাহিত করা হয়। শহর থেকে বেশ দূরে ইয়েনিশেহির কবরস্থানে পৌঁছাতেই প্রায় অর্র্ধকিলোমিটার সড়কজুড়ে দুপাশে চোখে পড়ল কাফনের কাপড়, কফিন, সুগন্ধিসহ অপেক্ষারত মানুষদের কবরস্থানটিতে প্রবেশ করতেই কানে ভেসে এলো স্বজনদের আহাজারি, আর্তনাদ। কবরস্থানটির পূর্বদিকে প্রায় আধা কিলোমিটার জুড়ে কবর খোঁড়ার কাজ চলছে। প্রতিনিয়ত আসছে লাশ।বৃদ্ধ, কিশোর-কিশোরী, শিশুদের দেখা গেছে কবরজুড়ে কাঁদতে। এক কিশোরী জানান, তার বাবা-মা, বোন এবং ভাই প্রাণ হারিয়েছেন। রোববার এখানে তাদের কবর দেওয়া হয়েছে। তাদের কবরগুলো ঠিক করতে এসেছে সে। আশি বছর বয়সি এক বাবা জানালেন, তিনি গ্রামে থাকতেন।শহরে থাকা ছেলে, ছেলের পরিবারের চার সদস্যকে ভূমিকম্প কেড়ে নিয়েছে। নির্বাক হয়ে কবরের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন এই বৃদ্ধ বাবা। মধ্যবয়সি এক নারী কবর জড়িয়ে বারবার চুম্বন খাচ্ছিলেন। তার পাশেই কুরআন হাতে দুই যুবক দোয়া পড়ছিলেন।শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে গুলবাশে কবরস্থান। সরেজমিন ওই কবরস্থানটিতে গিয়ে দেখা গেছে। সারি সারি কবর। কবরের সম্মুখভাগে ছোট ছোট কাঠের টুকরায় শুধু নাম্বার লেখা রয়েছে। কবরস্থানে দায়িত্বরত এক কর্মকর্তার ভাষ্য, এমন পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। ভূমিকম্প আমাদের শুধু স্বজনদেরই কেড়ে নেয়নি। বেঁচে থাকার স্বপ্নকেও চুরমার করে দিয়েছে। এমন ভূমিকম্পকে আমরা শতাব্দীর অন্যতম ভয়ংকর প্রাণঘাতী বলে মনে করছি। আমরা রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা কবরস্থানে অপেক্ষা করছি। এখন যেসব লাশ আসছে অধিকাংশই পচাগলা। মৃতের স্বজনেরা শেষবারের মতো প্রিয়জনের মুখখানিও দেখতে পারছেন না। দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। প্রচণ্ড ঠান্ডায় উদ্ধার কাজ নয়, মৃতদেহ কবর দেওয়াও কঠিন হচ্ছে।এসকি, কারাপিনার, থিত কবরস্থানে গিয়েও একই দৃশ্য চোখে পড়েছে। রাস্তার দুপাশে সারি সারি অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে আছে। মেহমেত গোরমেয নামে এক ব্যক্তি জানান, তার গাড়ি ছিল, বাড়ি ছিল, কিন্তু এখন কিছুই অবশিষ্ট নেই। স্ত্রী সন্তান মারা গেছেন ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে। প্রবাসী এই মেহমেত জানান রোববারে সে এ দেশে এসেছেন। জানালেন, পুরো তুরস্কে কবরস্থানগুলো সাজানো-গোছানো। মূল্যবান মার্বেল পাথরসহ বিভিন্ন ধাতব পদার্থ দিয়ে কবরগুলো তৈরি করা হয়। কিন্তু এই ভূমিকম্পে নিহত হাজার হাজার মানুষকে একেবারে লাগানো অবস্থায় কবর দেওয়া হয়েছে।সিনজিক কবরস্থানে গিয়েও চোখে পড়ল একই দৃশ্য। অ্যাম্বুলেন্সে রাখা হয়েছে বহু লাশ। জানাজা শেষে একেক করে কবর দেওয়া হচ্ছে সেগুলো। কবর খননকারী আহমেত দুরান নামক এক ব্যক্তি জানালেন, ভূমিকম্পের পর থেকেই প্রায় শতাধিক লোক কবর খুঁড়েই যাচ্ছেন। এখনকার সব লাশ একেবারে পচেগলে গিয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ সম্মানের সঙ্গে তা সমাহিত করছি।বেলিকহান ও বেসমি কবরস্থানে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার পাশে সাধারণ মানুষ খাবার নিয়ে অপেক্ষা করছেন। শোকাহত মানুষগুলো কবরস্থান হতে বের হতেই, খাবার নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। চেষ্টা করছেন সান্ত্বনা দেওয়ার। জিহাত সেলভি নামের এক ব্যক্তি জানান-মা-বাবা, ভাইবোনের কবর হয়েছে এখানে। কোথায় যাব, কার কাছে যাব কিছুই তো অবশিষ্ট রইল না!এদিকে বাংলাদেশ থেকে আসা আর্মি ও ফায়ার সার্ভিস দলের সদস্যরা দিন-রাত উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বহু লাশ উদ্ধার করেছে ধ্বংসস্তূপ থেকে। জীবিত উদ্ধার করেছে এক শিশু। দলের টিম লিডার লে. কর্নেল রুহুল আমিন জানান, আমরা উদ্ধার কাজে দিন-রাতই রয়েছি। প্রতিদিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো খাদ্যসামগ্রীও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করছি। তাঁবু দিচ্ছি।রুহুল আমিন বলেন, মঙ্গবার রাত প্রায় ১২টার দিকে শহরের জুমহুরিয়াত এলাকা থেকে একই সঙ্গে ৪টা লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান, উদ্ধারকালে দেখা গেছে মা তার দুই সন্তানকে (৩ ও ৫ বছর) বুকে জড়িয়ে ধরে আছেন। আর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে জড়িয়ে আছেন বাবা। এমন দৃশ্য আরও কখন দেখিনি। এদিকে উদ্ধারকারী দলের দুই সদস্য জানান, ভূমিকম্পের সময় মা হয়তো সন্তানদের বাঁচাতে বুকে আগলে ধরেন। আর বাবা পুরো পরিবারটিকে বাঁচাতে সবাইকে আঁকড়ে ধরেন। ওই অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।