মুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণ,রাজশাহীতে আমের বাম্পার ফলনের আশা


মুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণ,রাজশাহীতে আমের বাম্পার ফলনের আশা
আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি।রাজশাহীর বাতাসে বইছে আমের মুকুলের মৌ মৌ মিষ্টি ঘ্রাণ।মৌ মৌ ঘ্রাণ রাজশাহীর মানুষের মনকে বিমোহিত করে।পাশাপাশি মধু মাসের আগমনী বার্তা দিচ্ছে এই আমের মুকুল।আম বাগানের গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল।তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন রাজশাহী জেলা উপজেলার বাগান মালিকরা।রাজশাহীর চারঘাট, বাঘা, গোদাগাড়ী, দুর্গাপুর, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়,আম গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই আমের মুকুল।এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ।আর সেই ঘ্রাণে মৌমাছিরাও আসতে শুরু করেছে মধু আহরণে।শীতের জড়তা কাটিয়ে কোকিলের সেই সুমধুর কুহুতানে মাতাল করতে আবারও ফিরে আসছে ঋতুরাজ বসন্ত।জেলার আম চাষিরা বলছেন,বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ জেলায় আমের বাম্পার ফলন হবে।বর্তমানে আমচাষিরা বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।জেলার বাঘা উপজেলার থানা পাড়া এলাকার আমচাষি ইব্রাহিম জানান,এখন পর্যন্ত শতকরা ২৫ শতাংশ বাগানে মুকুল এসেছে।এ বছর শীত ও কুয়াশায় মুকুলের তেমন ক্ষতি না হওয়ায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিকরা।ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ কম থাকায় এবার কাঙ্খিত ফলনের আশা করছেন চাষিরা।উৎপাদিত আম মানসম্মত হওয়ায় চাহিদাও বাড়বে অনেক।এ বিষয়ে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মোজদার হোসেন বলেন,এবার আগাম মুকুল ফুটেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে মুকুলগুলো নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা নেই।আমের মুকুলের পরিচর্যায় কীটনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।এ জেলার আবহাওয়া ও মাটি আম চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী।রাজশাহী ফল গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হাসান ওয়ালিউল্লাহ বলেন,এবার গাছের পাতা ভাইরাসের আক্রমণে কালো হয়ে যাচ্ছে।এতে মুকুলের সুরক্ষায় বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহারের সুপারিশ করেন তিনি।