ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়ায় পাকিস্তানকে আইএমএফের ঋণ পেতে গোপন সহায়তা যুক্তরাষ্ট্রের


বাংলাদেশ রাজনীতি অর্থনীতি আন্তর্জাতিক খেলা রাজধানী লাইফস্টাইল চট্টগ্রাম অন্যান্যআন্তর্জাতিক ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়ায় পাকিস্তানকে আইএমএফের ঋণ পেতে গোপন সহায়তা যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়ায় পাকিস্তানকে আইএমএফের ঋণ পেতে গোপন সহায়তা যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন ডেস্কপ্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২৩ । ২৩:২৩ | আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২৩ । ২৩:২৩ফলো করুন-ফাইল ছবি ফাইল ছবিমার্কিন সহায়তায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ পেতে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে পাকিস্তান। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোপনে একটি চুক্তিও করে ইসলামাবাদ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্ট এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।দুটি শক্ত সূত্রের বরাতে ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদের মধ্যে হওয়া এই গোপন অস্ত্র চুক্তির তথ্য জানিয়েছে দ্য ইন্টারসেপ্ট। পাশাপাশি অস্ত্র চুক্তিটি নিয়ে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একাধিক গোপন নথিতেও তথ্য মিলেছে।তিন ধরনের যুদ্ধাস্ত্র তৈরির কেন্দ্র হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি আছে পাকিস্তানের। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র ও গোলাবারুদের সংকটে ভুগছে ইউক্রেন। ঠিক এমন সময়ে জানা যাচ্ছে দেশটি পাকিস্তানের কামানের গোলা ও অন্য সামরিক সরঞ্জাম পেয়েছে। তবে পাকিস্তান বা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে কেউই ইউক্রেনকে অস্ত্র দিতে করা এ চুক্তির কথা স্বীকার করছে না।গোপন নথির বরাতে ইন্টারসেপ্ট বলছে, গত বছরের গ্রীষ্ম থেকে এ বছরের বসন্ত পর্যন্ত সময়ে অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে সমঝোতা হয়। এ ছাড়া এসব নথিতে ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়ার বিনিময়ে পাকিস্তান কত অর্থ পাবে, লাইসেন্স, দুই দেশের কর্মকর্তাদের আলোচনাসহ বিস্তারিত সব রয়েছে।ইন্টারসেপ্ট বলছে, মার্কিন সেনাবাহিনীর একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখেছে তারা। ওই জেনারেল আগে সরকারি যেসব নথিতে স্বাক্ষর করেছেন, তার সঙ্গে গোপন এই নথিতে করা স্বাক্ষরের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের এই অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতা করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল মিলিটারি প্রোডাক্টস। এটি মূলত গ্লোবাল অর্ডন্যান্সের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। অস্ত্র বিক্রি ও লেনদেন করার ক্ষেত্রে মধ্যস্থতার কাজ করে থাকে গ্লোবাল অর্ডন্যান্স। প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে।দীর্ঘদিন ঝুলে থাকার পর এ বছরের শুরুর দিকে পাকিস্তানকে ঋণ দিতে রাজি হয় আইএমএফ। ইন্টারসেপ্ট দাবি করছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোপন অস্ত্র চুক্তি করার পরপরই পাকিস্তানের জন্য আইএমএফের ঋণের দরজা খুলে যায়। ওই অস্ত্র চুক্তি পাকিস্তানকে এ ঋণ পেতে সাহায্য করেছে।ঋণ পেতে পাকিস্তানকে কঠিন কিছু শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ। সেই শর্ত পূরণের জন্য পাকিস্তান সরকার কিছু কঠোর আর্থিক ও কাঠামোগত নীতি সংস্কার করার পদক্ষেপ নেয়। সরকারের এসব সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশে শুরু হয় বিক্ষোভ। এ বিক্ষোভের ফলে দেখা দেয় রাজনৈতিক অস্থিরতা।ইন্টারসেপ্ট বলছে, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে অপসারিত করার নেপথ্যে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের উৎসাহেই দেশটির সামরিক বাহিনী গত বছরের এপ্রিলে ইমরান খানের বিরুদ্ধে জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। ওই ভোটেই ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান।তবে এ প্রতিবেদনে দাবি করা গোপন চুক্তি প্রসঙ্গে পাকিস্তান সরকার কথা বলতে চায়নি আর যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি অস্বীকার করে বসেছে। ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসের এক মুখপাত্রের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে অসম্মতি জানিয়েছেন। ঋণ নিয়ে আলোচনা পাকিস্তান ও আইএমএফের কর্মকর্তাদের ব্যাপার, এসব আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র ছিল না, এমনটি দাবি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র।