যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে অনিয়ম, সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ


যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে অনিয়ম, সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিদ্যমান নীতিমালা ও উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করা হয়েছে নানা সময়ে।এ নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। তারা পদোন্নতির বিতর্কিত আদেশ বাতিল, দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও শূন্য পদে পদোন্নতির জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন।রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটি উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা পদে অবৈধভাবে দেওয়া চলতি দায়িত্বাদেশ বাতিল করে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে সুপারিশ করেছে।কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও এনএম নাইমুর রহমান দুর্জয়।বৈঠকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অনিয়ম ও দুনীতির একাধিক অভিযোগ নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে সাবেক উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করা হয়।এ সময় বলা হয়, ওই কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান নীতিমালা এবং আদালত ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মানেননি। নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে ১১২ জন সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা পদে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অথচ তাদের কয়েকজন চাকরিতে জুনিয়রই নন, তাদের পদোন্নতি পাওয়ার মতো যোগ্যতাও নেই।বৈঠকে বলা হয়, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আজাহারুল ইসলাম খান এই আদেশে সই করলেও অনিয়মের মূলহোতা মোখলেছুর রহমান। ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একাধিক বিভাগীয় মামলা থাকলেও কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।বৈঠকে জানানো হয়, ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর ১১২ জন সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা পদে চলতি দায়িত্ব দিয়ে এক আদেশ জারি করা হয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অমান্যের চিত্র উঠে আসে। পরে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতও ওই আদেশকে অবৈধ ঘোষণা করে আদেশটি বাতিলের নির্দেশনা দেন।বৈঠকে আরও জানানো হয়, ২০২২ সালের ১৮ জুলাই দেওয়া আদালতের আদেশটি বাস্তবায়ন না করে ঢাকা ও ঢাকার আশেপাশে কিংবা সুবিধাজনক স্থানে তাদেরকে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। এই অনিয়মের কারণে অন্তত ৭০ জন পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তা পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন। আবার ১১৫ জনের পদোন্নতির প্রস্তাব প্রস্তুত থাকলেও তা মহাপরিচালকের অনাগ্রহের কারণে বাস্তবায়ন হয়নি বলে বৈঠকে দাবি করা হয়েছে।