রানীশংকৈলে অটোচালকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার-৩।
একে আজাদ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধ
ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থেকে রানীশংকৈল যাওয়ার পথে অটোরিকশা সহ গত মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) নিখোঁজ হন অটোচালক সাইফুল ইসলাম (১৪)।
নিখোঁজের পাচঁদিন পর পাশের উপজেলা রানীশংকৈলের রামরায় দিঘির পাশে একটি ভুট্টা ক্ষেতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সপর্দ করা হয়েছে বলে জানান, রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মন্ডল।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার সিংহোর গ্রামের রবিউল আউয়ালের ছেলে আব্দুল কাদের (২৮) হাড়িয়া গ্রামের সারোয়ার হোসেনের ছেলে সাদেকুল ইসলাম ওরফে মোজাম্মেল হক মজু (২৬) ও একই উপজেলার গোগর গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে সজল (২৪)।
সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটি থানা পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি, পিবিআইসহ একাধিক সংস্থা তদন্ত শুরু করে। ঘটনার ৯ দিনের মধ্যে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে হত্যাকাণ্ডে সাথে জড়িতদের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাণীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বুধবার (১৫ মার্চ) রাতে হরিপুর ও রাণীশংকৈল থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুলকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন তিনজনই। এছাড়াও তারা আন্তঃজেলা ইজিবাইক চোরদলের সক্রিয় সদস্য বলেন জানান তিনি।
উল্লেখ্য - শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে রানীশংকৈল উপজেলার রামরায় দিঘির পাশে ভুট্টা ক্ষেত থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ওই অটোরিকশা চালক কিশোরের অর্ধ-গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ওই কিশোর হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গিপাড়া ইউনিয়নের দামোল পাড়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।