রাহুলকে ক্ষমা চাইতেই হবে, সংসদে অনড় বিজেপি


রাহুলকে ক্ষমা চাইতেই হবে, সংসদে অনড় বিজেপি
ক্ষমা না চাইলে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে সংসদে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগই শাসকদল বিজেপি দেবে না, এখন এটা অনেকটা নিশ্চিত। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা শুক্রবার স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, আগে দেশের কাছে ক্ষমা চান, তার পর সংসদে যা কৈফিয়ত দেবেন। একদিকে লন্ডনে বক্তব্যের জন্য রাহুলের ক্ষমা প্রার্থনার দাবিতে অনড় বিজেপি, অন্যদিকে আদানিকাণ্ডের তদন্তের জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) গঠনের দাবিতে বিরোধীরা অটল। উভয়পক্ষের চাপে গতকাল শুক্রবার সকালেই সারাদিনের মতো সংসদের উভয় কক্ষের অধিবেশন মুলতবি করা হয়। আগামী সোমবারও এই অচলাবস্থার অবসান ঘটবে, এমন কোনো ইঙ্গিত নেই। খবর এনডিটিভর। বৃহস্পতিবারই রাহুল সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জবাব দেওয়ার অধিকার তাঁর আছে। সেই অধিকার পেতে লোকসভার স্পিকারের সঙ্গেও তিনি দেখা করেছিলেন। রাহুল বলেছিলেন, দেশে গণতন্ত্র থাকলে সেই অধিকার তাঁকে দেওয়া হবে। তবে সংশয় প্রকাশ করে বলেছিলেন, তা পাবেন বলে মনে হয় না। রাহুলের আশঙ্কাই গতকাল সকালে সত্য হলো। উপস্থিত থাকলেও তাঁকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সভা মুলতবি করা হয়। রাহুলকে কোণঠাসা করতে বিজেপি গোটা দলকে নামিয়ে দিয়েছে। সভাপতি জে পি নাড্ডা শুক্রবার রাহুলকে সরাসরি দেশদ্রোহী বলে উল্লেখ করেন। বিজেপির বড় একটা অংশ চাচ্ছে, দেশবিরোধী তকমা সেঁটে রাহুলের লোকসভা সদস্যপদ খারিজ করে দিতে। সেজন্য আগেই তাঁর বিরুদ্ধে অধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। বিষয়টি বিবেচনাধীন। কিন্তু সেই পদ্ধতি এড়িয়ে বিজেপি চাচ্ছে, লোকসভার অধ্যক্ষের বিশেষ অনুমতিতে কমিটি গড়ে দ্রুত রাহুলের সদস্যপদ খারিজ করতে। এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে সংসদে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনলেন রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেনুগোপাল। কেরলের ওই কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, গান্ধী-নেহরু পরিবার সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাবে বেনুগোপালের দাবি, ফেব্রুয়ারিতে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন মোদি।