রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র: উৎপাদন পিছিয়ে আগস্টে
              
                  
 অনলাইন নিউজ ডেক্স                  
              
             
          
           
           
			
           
             
           
           
           
           
               
                                       
                                      
             
          
            
                
                            
              
            
         
          
            
			   
			   
				  
				  
				    বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রূপপুরের উদ্বোধনের কথা ছিল চলতি ডিসেম্বরে। তবে গ্রিড লাইন নির্মাণ কাজের বিলম্বের কারণে নির্ধারিত সময়ে উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হতে আরও অন্তত ছয় মাস সময় লাগবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লিসহ মূল অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হয়েছে এক বছর আগেই। ২০২৩ সালের অক্টোবরে রাশিয়া থেকে প্রথম পর্যায়ে জ্বালানি ইউরেনিয়াম রূপপুরে পৌঁছায়। তবে প্রায় দেড়শ’ কিলোমিটার দীর্ঘ রূপপুর-গোপালগঞ্জ গ্রিড লাইন এখনও সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়নি।
রূপপুর এনপিপি’র প্রকল্প পরিচালক ড. জাহেদুল হাছান বলেন, “গ্রিড লাইন প্রস্তুত হওয়ার পরেও জ্বালানি লোড এবং অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে দুই মাস সময় লাগবে। এরপরে পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যেতে আরও এক মাস প্রয়োজন।”
গ্রিড লাইনের নির্মাণ কাজ তদারককারী প্রতিষ্ঠান পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)-এর এমডি আবদুর রশিদ খান জানান, টানা তিন মাস কাজ বন্ধ থাকায় সঞ্চালন লাইন নির্মাণে উল্লেখযোগ্য বিলম্ব হয়েছে। জুলাই মাসে দেশজুড়ে অস্থিরতার কারণে বিদেশি প্রকৌশলীরা নিরাপত্তা শঙ্কায় নিজ নিজ দেশে ফিরে যান, ফলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
গ্রিড লাইনের সবচেয়ে জটিল অংশটি হলো পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে সঞ্চালন লাইন নির্মাণ। এখানে চারটি টাওয়ার নির্মাণের কাজ চলছে, যার মধ্যে দু’টি নদীর মাঝখানে। স্রোত এবং পলিমাটির কারণে কাজ এগিয়ে নিতে বেগ পেতে হচ্ছে। নদীর অংশের কাজ এখনও ৪৫ শতাংশ বাকি।
এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার বিশাল বাজেটের এই প্রকল্পে তৃতীয় প্রজন্মের ভিভিইআর ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ইউনিট রয়েছে। প্রথম ইউনিটটি চালু হলে এটি দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হবে। তবে প্রকল্পের পূর্ণ সক্ষমতা অর্জনে দ্বিতীয় ইউনিট চালু হতে ২০২৬ সালের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গ্রিড লাইনের নির্মাণ কাজ আগামী বছরের মার্চে শেষ হবে। এরপর আগস্টে পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। এর আগে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সমস্ত প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে।
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন শুরু হলে এটি দেশের জ্বালানি খাতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে। তবে গ্রিড লাইনের নির্মাণে বিলম্ব ও চ্যালেঞ্জসমূহ এড়িয়ে সময়মতো কাজ সম্পন্ন করা এখন প্রধান অগ্রাধিকার। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়ে এই প্রকল্পকে সফলভাবে শেষ করা সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।				   
				   				 
			   
          
                   