রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সহায়তা কমায় জরুরি বরাদ্দ জাতিসংঘের


রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সহায়তা কমায় জরুরি বরাদ্দ জাতিসংঘের
রোহিঙ্গাদের জন্য দাতাদের সহায়তা কমে যাওয়ায় জাতিসংঘ নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাটির কেন্দ্রীয় জরুরি সহায়তা তহবিল (সিইআরএফ) থেকে গত জানুয়ারিতে প্রায় ৯০ লাখ ডলার বরাদ্দ করা হয়। জাতিসংঘের ছয়টি সংস্থা কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে এ অর্থ নিয়ে সহায়তা কার্যক্রমও শুরু করেছে। ঢাকায় জাতিসংঘ কার্যালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।রোহিঙ্গাদের জন্য এ অর্থ পেয়েছে জাতিসংঘ অভিবাসন সংস্থা-আইওএম, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা-ইউএনএইচসিআর, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল-ইউএনএফপিএ, জাতিসংঘ শিশু তহবিল-ইউনিসেফ, ইউএন উইমেন এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি-ডব্লিউএফপি।সিইআরএফ এমন একটি ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে দাতারা আগাম একটি যৌথ তহবিল গড়ে তোলেন। কোথাও সংকট তৈরি হলে প্রাথমিক ও জীবনরক্ষাকারী সহায়তা দিতে ওই তহবিল থেকে মানবিক ত্রাণ সংস্থাগুলোকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকার ও অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো শরণার্থীদের জন্য তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার, খাদ্য সহায়তা, পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও স্বাস্থ্যবিধি পরিষেবা এবং সুরক্ষা দিয়ে আসছে। এই অর্থে কক্সবাজার এবং ভাসানচর দ্বীপে ৯ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা এবং উখিয়া ও টেকনাফে বসবাসকারী ১৭ হাজার ৮০০ বাংলাদেশিকে জীবন রক্ষাকারী সেবা দেওয়া হবে।তহবিল বরাদ্দের বিষয়ে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, শরণার্থী ও এ দেশীয় জনগোষ্ঠীর জন্য অপর্যাপ্ত তহবিলের অনুকূলে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ অর্থের মাধ্যমে শরণার্থীদের সুরক্ষা, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা মোকাবিলা এবং তাদের অধিকার ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা যাবে।এদিকে, রোহিঙ্গাদের জন্য ডব্লিউএফপি ফুড ভাউচারের মূল্য প্রতি মাসে জনপ্রতি ১২ ডলার থেকে কমিয়ে ১০ ডলার করা হয়েছে। তহবিল স্বল্পতার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১ মার্চ থেকে এটি কার্যকর করা হয়েছে। এটি এমন এক সময় করা হলো যখন পুরো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মৌলিক খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা পূরণে ডব্লিউএফপির ওপর নির্ভরশীল এবং তাদের শিশু ও নারীরা ইতোমধ্যে উচ্চহারে অপুষ্টির শিকার।