শহিদ মিনার থেকে ১০ মিনিটে উধাও সব ফুল!


আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে গাজীপুরের টঙ্গীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১০ মিনিটের মধ্যে উধাও হয়ে গেছে সব ফুল। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ৩৫ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর পরে শহিদ মিনারে প্রতিদিনের ন্যায় মাদকসেবীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে অনেকে ফুল দিয়ে ছবি তোলার পর ফুল নিয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের প্রাঙ্গণে স্থাপিত টঙ্গীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শুরু হয়। সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, বিভিন্ন দপ্তরের পাশাপাশি রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। রাত প্রায় সাড়ে ১২টার পর আর কেউ ফুল দেয়নি। এরপর ১০ মিনিটের মধ্যে শহিদ মিনার ফুল শূন্য হয়ে যায়। সারা বছরই রাতে এই জায়গাটি মাদকসেবীদের দখলে থাকে। শহিদ মিনারে আনুষ্ঠানিক পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করার সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকারী একাধিক সংবাদকর্মী তাদের ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, টঙ্গীতে একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে মাদকসেবীদের দখলে ফুল শূন্য শহিদ মিনার। পোস্টের ছবিতে সময় লিখেছেন ১২টা ৪৫ মিনিট। একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, অনেকে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে ছবি তুলে যার যার ফুল সে সে নিয়ে গেছেন। আবার অনেকে ফুল রেখে গেলেও এলাকার কিছু তরুণ ও মাদকসেবীরা তাৎক্ষনিক ফুলগুলো নিয়ে গেছেন। শহিদ মিনারের প্রধান ফটকের সামনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রতি বছরই এমন ঘটনা ঘটে। ফুল দেওয়ার আগে থেকেই মাদকসেবীদের আনাগোনা এই এলাকায় বেড়ে যায়। ফুল দেওয়া শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুল নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয়। এটা নতুন নয়, প্রতিবারই এমন হয়। এখানে ভিড়ের মধ্যে পকেটমারের আনাগোনাও বেড়ে যায়। টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাত আড়াইটা পর্যন্ত আমাদের ডিউটি ছিল। তখন পর্যন্ত কোনো মাদকসেবী ঢোকেনি। তবে অনেকে ফুল দিয়ে ছবি তোলে ফুল নিয়ে গেছেন বলে জানান তিনি।