শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের জমিজট কাটলো না
অনলাইন নিউজ ডেক্স

পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের জমি নিয়ে টানাপোড়েন শেষ হলো না। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বীরভূম জেলার বোলপুরে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে (বিএলআরও) অমর্ত্য সেনের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অমর্ত্য সেনের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তী ও বিশ্বভারতীর আইনজীবী সুচরিতা বিশ্বাস। তবে এদিন কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।অমর্ত্যের আইনজীবী দাবি করেছেন, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সময় চেয়েছে। তবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের আইনজীবী পাল্টা দাবি করেছেন, অমর্ত্য সেনের বাবা ১.২৫ একর জমি লিজ নিয়েছিলেন। তাই, অমর্ত্য সেন ওই জমির মিউটেশন করতে পারেন না। এ নিয়ে আমরা আপত্তি জানিয়েছি। শুনানির তারিখ পরে জানানো হবে।এদিন অমর্ত্য সেনের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তী জমি সংক্রান্ত একটি নথি জমা দেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার কর্মকর্তা সঞ্জয় দাশের কাছে। অন্যদিকে, বিশ্বভারতীর আইনজীবী সুচরিতা বিশ্বাস একটি নথি দিয়ে অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ‘প্রতীচী’র জমি নিয়ে রাজনীতি করছেন।বিশ্বভারতীর দাবি, ১৯৪৩ সালের চুক্তিপত্র অনুযায়ী অমর্ত্য সেনের বাবা আশুতোষ সেনকে ১.২৫ একর জমি দেওয়া হয়েছিল, ১.৩৮ একর নয়। এরই ভিত্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বিরুদ্ধে ১৩ ডেসিমেল জমি দখলের অভিযোগ তোলে বিশ্বভারতী।ওই জমি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অমর্ত্যকে তিনটি চিঠি দেয়, যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। জমি দখলের অভিযোগ তুলে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিভিন্ন সময় অমর্ত্য সেনর্কে তীর্যক ভাষায় আক্রমণ করেন। তবে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বারবার দাবি করেছেন, প্রতীচীর জমি তারইএই বিতর্কের মধ্যে অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়ান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। অমর্ত্যের বাড়িতে গিয়ে বেশ কিছু সরকারি নথি তুলে দেন তিনি। জানা যায়, সেই নথি অনুযায়ী, ১.২৫ একর নয়, ১.৩৮ একরই অমর্ত্যের পিতাকে লিজ দেওয়া হয়েছিল বলে সরকারি খাতায় নথিভুক্ত রয়েছে।সোমবার ভূমি রাজস্ব দপ্তরে বসা আদালতে দীর্ঘসময় দু’পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে জোর সাওয়াল-জবাব চলে। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে এখনই জমি বিতর্কের অবসান হচ্ছে না।
