শ্যামনগরে উপকূল রক্ষা বাঁধে ধস, এলাকায় আতঙ্ক
অনলাইন নিউজ ডেক্স

শ্যামনগরের দুর্গাবাটি এলাকায় পাঁচ নম্বর পোল্ডারের অন্তর্গত উপকূল রক্ষা বাঁধে ৮০ থেকে ৯০ ফুট জায়গাজুড়ে ভয়াবহ ধসের সৃষ্টি হয়েছে। খোলপেটুয়া নদী তীরবর্তী দুর্গাবাটি আশ্রয়কেন্দ্রের দক্ষিণ পাশে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ধসে যায়। চলমান মেরামত কাজ শেষ হওয়ার আগেই বাঁধে ধসের ঘটনায় এলাকাবাসীর মনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। মেরামত কাজ করে \'ফেয়ার এন্টারপ্রাইজ\' নামে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান।স্থানীয় ইউপি (বুড়িগোয়ালিনী) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, দ্রুত মেরামত না হলে বাঁধ নদীতে বিলীন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দুর্গাবাটি এলাকার হাজার হাজার হেক্টর জমির চিংড়িঘেরসহ ৮ থেকে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।এদিকে আকস্মিকভাবে বাঁধে ধস নামায় স্থানীয়রা ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তাদের অভিযোগ, বস্তা প্লেসিংসহ আনুষঙ্গিক কাজ দীর্ঘদিন ধরে ঝুলিয়ে রাখা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মচারী দিয়ে কাজ করানোয় ধসের ঘটনা ঘটেছে। নদীতে পানি বৃদ্ধির পর আরও বড় ধস দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা এলাকাবাসীর।পাউবোর সেকশন অফিসার মাসুদ রানা জানান, শুক্রবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ওই স্থানে প্রায় ২৫০ মিটার রিং বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে বাঁধে ওই ধস নামে। বিকেলের দিকে ধসে যাওয়া অংশের দুই পাশ থেকে আরও প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ফুটের মতো বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। এ সময় খোলপেটুয়া নদীর দিকে বাঁধের কিছু অংশ এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত দেবে যায়।স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১০ মাস আগে ভাঙনকবলিত বাঁধের ওই অংশে ১৩৫ মিটার জায়গাজুড়ে বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হয়। বস্তা ডাম্পিং ও মাটির কাজ করার পর দীর্ঘদিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি বস্তা প্লেসিংয়ের কাজ না করায় আকস্মিকভাবে ধসের সৃষ্টি হয়েছে।
তাদের অভিযোগ, ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কার্যাদেশ হলেও পাউবোর অফিস সহায়ক তুষার কুমার বর্মণকে দিয়ে কাজ করানোয় গুনগত মান রক্ষা হয়নি। বস্তা প্লেসিং না করার বিষয়টি স্বীকারও করেছেন তুষার
