সালাম মুর্শেদীর বাড়ির অনুসন্ধান প্রতিবেদন দিতে দুদককে কড়া হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের
অনলাইন নিউজ ডেক্স

খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ির মামলার অনুসন্ধান প্রতিবেদন আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে দুদককে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।গেল ২২ আগস্টের মধ্যে দুদকের এই প্রতিবেদন দাখিল করার কথা ছিল। কিন্তু প্রতিবেদন দাখিল করেনি সংস্থাটি। দুদককে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে আদালত বলেছেন, আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন না দিলে আদালত অবমাননা হিসেবে ধরা হবে।আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিমকোর্টের আলোচিত আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।শুনানি শেষে ব্যারিস্টার সুমন গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিবেদন প্রস্তুত হওয়ার পরও দুদক আদালতে দাখিল করছে না। আদালত বলেছেন, এটা আদালত অবমাননার (কনটেম্পচুয়াস) শামিল। আমি বলেছি, মনে হচ্ছে দুদক সালাম মুর্শেদীর সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন দাখিল করবে। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিআইএল (জনস্বর্থে মামলা) করব, দুদকের হাতে তুলে দেব; আর তারা (দুদক) সুবিধা নেবে।’
উল্লেখ্য, সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে গত ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট করেন ব্যারিস্টার সুমন। রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।এরপর ১ নভেম্বর আবদুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রাজউক, গণপূর্ত বিভাগ ও সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক শুনানি করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন, রাজউক চেয়ারম্যান, গণপূর্ত সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।গত বছরের ১২ ডিসেম্বর এ বাড়ি সংক্রান্ত নথি ও প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। একই সঙ্গে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন দুদককে দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।ব্যারিস্টার সুমন জানান, গত ২০ জুলাই দুদকের এক চিঠিতে জানানো হয়- অভিযোগের অনুসন্ধান শেষ করেছে তাদের গঠিত অনুসন্ধান টিম। অনুসন্ধান প্রতিবেদন দুদক কার্যালয়ে দাখিল করা হয়েছে এবং তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। কমিশনের অনুমোদন পাওয়ার পর প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হবে।এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি বাড়িটি নিয়ে রাজউকের প্রতিবেদন হাই কোর্টে দাখিল করে বলা হয়, বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকায় নেই। পরিত্যক্ত ওই বাড়ির নকশাও (মূল লে আউট প্ল্যান) আদালতে দাখিল করে রাজউক।
