অর্থ সংকট, পিপিপিতে হেলিপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায় বেবিচক
অনলাইন নিউজ ডেক্স
দেশে প্রথমবারের মতো অত্যাধুনিক হেলিপোর্ট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। দুই বছরেরও বেশি সময় আগে রাজধানীর খিলক্ষেতের কাওলায় প্রায় ১০০ বিঘা জমির ওপর এটি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ৫০৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। তবে অর্থ সংকটে কাজ আটকে আছে। এ কারণে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় হেলিপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ভাবছে বেবিচক।
সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার কাওলায় হেলিপোর্ট প্রকল্পটি পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ-বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং স্কয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অঞ্জন চৌধুরী। এ সময় আরও ছিলেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী আবদুল মালেকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বেবিচক সূত্র জানায়, হেলিপোর্টটির নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু হেলিপোর্ট’। গত বছরের জুন থেকে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়। উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুযায়ী এটি তৈরি হলে একসঙ্গে অন্তত ৮০টি হেলিকপ্টার অবস্থান করতে পারবে। কিন্তু সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছরে যে ১ হাজার ৪৮৭টি প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, তার মধ্যে বঙ্গবন্ধু হেলিপোর্ট নেই। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রথমে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থাকে (জাইকা) প্রস্তাব দিয়েছিল বেবিচক। কিন্তু জাইকা এ প্রকল্পে সম্মতি দেয়নি। পরে সরকারি খরচেই হেলিপোর্ট নির্মাণের উদ্যোগ নেয় বেবিচক। কিন্তু সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় না থাকায় প্রকল্পটি আটকে আছে। এ কারণে পিপিপির আওতায় এটি বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিয়েছে বেবিচক।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বেসরকারি খাতের হেলিকপ্টারগুলো উড্ডয়নের জন্য প্রতিবার বেবিচক থেকে অনুমতি নিতে হয়। বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করে পরিচালনা করা হচ্ছে হেলিকপ্টারের ফ্লাইট। এভাবে ফ্লাইট পরিচালনা বেবিচকের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে।
বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল মালেক বলেন, অত্যাধুনিক হেলিপোর্ট নির্মাণের জন্য ২০২০ সালে অনুমোদন দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এরপর এই প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু আজও অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এতে আটকা পড়ে আছে হেলিপোর্ট নির্মাণের কাজ।
বেবিচক চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান জানান, পিপিপির আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের চিন্তাভাবনা চলছে। এ কারণে বুধবার প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন সালমান ফজলুর রহমান ও অঞ্জন চৌধুরী।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।