আবরারের স্বাধীনতা পুরস্কার নিয়ে ভাইয়ের আবেগঘন পোস্ট
অনলাইন নিউজ ডেক্স

প্রতিবেশী দুই দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অসম চুক্তি এবং পানি আগ্রাসন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এ পুরস্কার গ্রহণ করেছেন তার মা রোকেয়া খাতুন।রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মঙ্গলবার পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও তাদের প্রতিনিধিদের হাতে পদক তুলে দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এ নিয়ে আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবেগঘন একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।মঙ্গলবার দুপুরে পোস্ট করা স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-ফাইয়াজ লেখেন, আবরার ফাহাদকে স্বাধীনতা পদকের জন্য নির্বাচিত করার কাজে যারা যুক্ত ছিলেন তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। ভারত বা অন্যান্য চাপ উপেক্ষা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া কোনোভাবেই সহজ ছিল বলে আমরা মনে করি না।তিনি আরও লেখেন- ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসতে হলে যদি দিল্লির সঙ্গে আপস করা না লাগে তাহলেই আবরার ফাহাদের আত্মত্যাগের প্রকৃত স্বীকৃতি দেওয়া হবে। না হলে এই পদকও আসলে মূল্যহীন। আই উইশ কোনো মাকে তার সন্তানের পক্ষে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক গ্রহণ না করা লাগতো।বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অসম চুক্তি এবং পানি আগ্রাসন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নৃশংস কায়দায় পিটিয়ে হত্যা করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। পরে রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
