আবার পাকিস্তানি তারকাদের নিয়ে হইচই ভারতে, নিষিদ্ধের দাবি
অনলাইন নিউজ ডেক্স

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক গত এক মাসে নতুন করে খারাপ হয়েছে। এর জেরে আরও একবার ভারতে নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া নেমে এসেছে পাকিস্তানের শিল্পীদের ওপর। এবার তাদের পাকাপাকিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে। এর আগে জুলাই মাসের প্রথম দিনেই পাক-তারকাদের প্রতি খানিক যেন শিথিল হয়েছিল ভারতের কড়াকড়ি। কিন্তু একদিন কাটতে না কাটতেই ফের চরম পদক্ষেপ শুরু।পেহেলগাম-কাণ্ডের পরই পাকিস্তানি তারকাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় ভারতে। তাদের সামাজিক মাধ্যমও নিষিদ্ধ করা হয়। অভিনেত্রী হানিয়া আমির, আতিফ আসলাম, মাহিরা খান, ফাওয়াদ খান, মাওরা হোসেনের মতো তারকাদের আর দেখতে পাচ্ছিলেন না এ দেশের অনুরাগীরা। তবে ১ জুলাই হঠাৎ চাউর হয়ে যায় পাক-অভিনেত্রী মাওরাকে সামাজিক মাধ্যমে ফের দেখতে পাচ্ছেন ভারতের অনুসরণকারীর।অথচ নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে কিনা, তা জানা যায়নি। তবে ইনস্টাগ্রাম কিংবা কেন্দ্র সরকারের তরফে ছিল না কোনো ঘোষণা। এরপরই মোড় ঘুরে যায়। নতুন করে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে পাক-তারকা ও তাদের সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলো।গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ফের নিষিদ্ধ হয় মাওরা, উমনার মতো তারকাদের পাতা। সামাজিক মাধ্যমের তরফে বিশেষ বার্তায় জানিয়ে দেওয়া হয়—এই পাতাগুলো বন্ধ রাখার আইনি কারণ রয়েছে।এদিকে অল ইন্ডিয়া সিনে ওয়ার্কারস অ্যাসোসিয়েশন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে দাবি করেছে পাকিস্তানি তারকাদের যেন সারাজীবনের মতো নিষিদ্ধ করা হয়। জুলাই মাসের শুরু থেকেই মাওরার সামাজিক মাধ্যমের পাতা কেন দেখা গেল ভারতে? অনেকেই দাবি করেছেন, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ওই পাতা দেখা গেছে।উল্লেখ্য, গত ২০১৬ সালে বলিউডে ‘সনম তেরি কসম’ সিনেমায় অভিনয় করে ভারতীয় দর্শকদের মন জয় করেছিলেন পাক অভিনেত্রী মাওরা। কিন্তু পেহেলগাম-কাণ্ড ও ‘অপরেশন সিঁদুর’-এর পর সে দেশের তারকারা ভারতবিরোধী মন্তব্য করায় সম্পর্কের অবনতি হয়।এরপরই ‘অল ইন্ডিয়া সিনে ওয়ার্কারস অ্যাসোসিয়েশন’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন করে, যাতে পাক অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সামাজিক মাধ্যমগুলো পুরোপুরি এ দেশে নিষিদ্ধ করা হয়।
