‘আমার মা কাউকে বিয়ে করেননি’
অনলাইন নিউজ ডেক্স
নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে নিজ দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন নাগরিক ওনাইজা রবিনসন। নিদাল আহমেদ মেমন নামে ১৯ বছরের এক পাকিস্তানি তরুণকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে গত বছরের অক্টোবরে তিনি পাকিস্তানে আসেন। সেই থেকে এ পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানেই ছিলেন।
প্রেম ও প্রত্যাখ্যান হওয়ার গল্প৩৩ বছর বয়সি ওনাইজা ও মেমনের পরিচয় হয় মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপর তিনি গত ১১ অক্টোবর করাচিতে আসেন। কিন্তু তাদের বিয়ের জন্য মেমনের পরিবার রাজি হয়নি। অর্থাৎ তিনি প্রত্যাখ্যাত হন।পরবর্তীতে একটি এনজিও তাকে দেশে ফেরার জন্য বিমান টিকিট ও আর্থিক সহায়তা দেয়। তাতেও তিনি দেশে ফিরতে অস্বীকৃতি জানান। বরং তিনি মেমনের বাসার পার্কিং এলাকায় অবস্থান নিতে শুরু করেন।অবশেষে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ততবে এখন তিনি নিউ ইয়র্ক ফিরে যেতে চান এবং তার জন্য ফেরার টিকিটের দাবি জানিয়েছেন।এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি চাই তোমরা আমার নিউ ইয়র্কের টিকিট বুক করো... এই মুহূর্তে আমার কাছে পর্যাপ্ত টাকা নেই, আমি কৃতজ্ঞ থাকব’।এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ওনাইজা দাবি করেছিলেন যে, তিনি তার স্বামীকে খুঁজছেন। সেই সময় তিনি বলেন, ‘আমি আমার স্বামীর সঙ্গে দুবাই যেতে চাই। সরকার যেন আমাকে ১ লাখ রুপির ব্যবস্থা করে দেয়’।মানসিক অসুস্থতার দাবিএ ঘটনায় নতুন মোড় আসে, যখন ওনাইজার ছেলে জেরেমাইয়া রবিনসন এক ভিডিও বার্তায় দাবি করেন যে, তার মা বাইপোলার ডিজঅর্ডারে ভুগছেন এবং মানসিকভাবে সুস্থ নন।তিনি বলেন, ‘আমার মা নিদালের সঙ্গে পরিচিত এবং তিনি পাকিস্তানে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। দুই সপ্তাহ পর ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি ফিরতে রাজি হননি। নিদাল তার জন্য ১৫ জানুয়ারির টিকিটও কেটেছিলেন। তবুও তিনি ফেরেননি’।জেরেমাইয়া আরও বলেন, ‘আমি তার ছেলে হিসেবে চেষ্টা করছি মাকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনতে। অথচ মানুষ তাকে নিয়ে উপহাস করছে এবং তার ব্যক্তিগত তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে’।একই সঙ্গে তিনি দাবি করে বলেন, ‘আমার মা কাউকে বিয়ে করেননি’। সূত্র: জিও নিউজ
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।