প্রকাশিতঃ অক্টোবর ১, ২০২৪
৫:৩৩ অপরাহ্ণ

আন্তর্জাতিক

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।  এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*।  ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে।  আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫।  এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে।  রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের  অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি:  উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।  বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।

আরও খবর

ইরানের জনগণকে স্বাধীনতার বার্তা দিলেন নেতানিয়াহু


ইরানের জনগণকে স্বাধীনতার বার্তা দিলেন নেতানিয়াহু
ইরানের জনগণেল উদ্দেশে সরাসরি এক বিরল বার্তা দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইরানি জনগণকে তিনি স্বাধীনতার বার্তা দিয়েছেন। বলেছেন, ইসরাইল আপনাদের সঙ্গে আছে।ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী এমন এক সময়ে এই বার্তা দিলেন, যখন দেশটি লেবানন, ফিলিস্তিন ও ইয়েমেনে ইরানি প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোর মোকাবিলা করছে।ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইংরেজিতে দেওয়া এক ভাষণে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিদিন আপনারা এমন একটি রেজিমকে দেখতে পাচ্ছেন, যারা আপনাদের বশীভূত করে রেখে লেবাননকে রক্ষা করার, গাজাকে রক্ষা করার বিষয়ে জ্বালাময়ী বক্তৃতা দেয় এবং প্রতিদিন সেই রেজিমই আমাদের অঞ্চলকে অন্ধকারে ও আরও গভীরে যুদ্ধে নিমজ্জিত করে।ইরানের প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোকে ইঙ্গিত করে নেতানিয়াহু বলেন, ইরানের ‘পুতুলদের’ নির্মূল করা হচ্ছে। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে ইসরাইল পৌঁছাতে পারে না। এমন কোথাও নেই যে আমরা আমাদের জনগণকে রক্ষা করতে যাবো না।নেতানিয়াহু আরও বলেন, প্রতিটি ক্ষণে, প্রতিটি মুহূর্তে আপনাদের দেশের রেজিম আপনাদের—মহান পারস্যের জনগণকে—অতল গহ্বরের কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছে। ইরানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ জানে, তাদের সরকার তাদের ব্যাপারে বিন্দুমাত্র পরোয়া করে না। যদি তারা (সরকার) আপনাদের যত্ন করত, তবে তারা মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে নিরর্থক যুদ্ধে বিলিয়ন ডলার অপচয় বন্ধ করত। এমনটা হলে আপনাদের জীবনের উন্নতি শুরু হবে।ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবার ভাবুন, পারমাণবিক অস্ত্র ও বিদেশে যুদ্ধে সরকার যে বিপুল অর্থ অপচয় করেছে, তা যদি আপনাদের সন্তানদের শিক্ষা, আপনাদের স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে, আপনাদের দেশের অবকাঠামো, জল, পয়োনিষ্কাশন, আপনাদের প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিস তৈরিতে বিনিয়োগ করা হতো, তাহলে পরিস্থিতি কেমন হতো এটি একবার কল্পনা করুন।নেতানিয়াহু এ সময় ইরানি জনগণকে স্বাধীনতার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, যখন ইরান শেষ পর্যন্ত স্বাধীন হবে—এবং সেই মুহূর্তটি ইরানের মানুষের ধারণার চেয়ে অনেক তাড়াতাড়ি আসবে—সবকিছু ভিন্ন হবে। আমরা দুই প্রাচীন জনগোষ্ঠীর মানুষ—ইহুদি ও পারস্যের জনগণ—অবশেষে শান্তিতে থাকব। আমাদের দুই দেশ ইসরাইল ও ইরান শান্তিতে থাকবে।ইরানের প্রক্সি গোষ্ঠীগুলো ভেঙে পড়বে উল্লেখ করে নেতানিয়াহু বলেন, যখন সেই দিন আসবে, পাঁচটি মহাদেশে (ইরান) যে সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিল তা দেউলিয়া হয়ে যাবে, ভেঙে পড়বে। ইরান আগের মতো উন্নতি করবে: বৈশ্বিক বিনিয়োগ; ব্যাপক পর্যটন; ইরানের অভ্যন্তরে বিদ্যমান অসাধারণ প্রতিভার ওপর ভিত্তি করে উজ্জ্বল প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন শুরু হবে। এটা কি সীমাহীন দারিদ্র্য, নিপীড়ন এবং যুদ্ধের চেয়ে ভালো নয়?ইরানি জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, ধর্মান্ধ মৌলভিদের একটি ছোট দলকে আপনাদের আশা ও স্বপ্নকে চূর্ণ করতে দেবেন না। আপনারা আরও ভালো কিছুর দাবিদার, আপনাদের সন্তানেরা আরও ভালো পাওয়ার অধিকার রাখে। আমি জানি আপনারা হামাস ও হিজবুল্লাহর ধর্ষক-খুনিদের সমর্থন করেন না, কিন্তু আপনাদের নেতারা করেন। ইরানের জনগণের জানা উচিত, ইসরাইল আপনাদের পাশে আছে। আমরা যেন একসঙ্গে সমৃদ্ধি ও শান্তির ভবিষ্যৎ উদযাপন পারি।