ইরানের হামলায় ইসরায়েলে ধ্বংসযজ্ঞ, আহত অর্ধশতাধিক
অনলাইন নিউজ ডেক্স

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ‘ট্রু প্রমিজ থ্রি’ নামক প্রতিশোধমূলক অভিযান শুরু করেছে ইরান। পরমাণু স্থাপনা ও সেনা কমান্ডারদের হত্যার বদলা নিতে এই হামলা শুরু করেছে ইরান।শুক্রবার (১৩ জুন) মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কেঁপে উঠছে তেল আবিবসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহর। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধ্বংস হয়েছে বহু ভবন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক ইসরায়েলি নাগরিক। তাদের মধ্যে অন্তত একজনের মৃত্যু হয়েছে।আল-জাজিরা ও টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় সময় ভোর পাঁচটার দিকে ইসরায়েলে আরেক দফায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান।ইরানের প্রথম দুই দফার হামলায় অন্তত ৪১ ইসরায়েলি আহত হন। তৃতীয় দফার হামলায় আহত হন আরও সাতজন। কয়েকটি মিসাইল সরাসরি ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেলআবিবে আঘাত হানে। এতে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ দেখা যায় তেল আবিবে।তেল আবিবের কাছে রামাত গানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন।
হিব্রু ভাষার সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ওই নারী ইরানের মিসাইলের আঘাতে গুরুতর আহন হন। হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। অপরদিকে যারা আহত হয়েছেন তাদের মধ্যে অন্তত দুজন গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল।দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরান প্রথম দফায় কয়েকশ ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ে। যার কিছু যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা ইসরায়েলে পৌঁছানোর আগেই ভূপাতিত করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির একটি সূত্র।পরবর্তীতে ইরান হুঁশিয়ারি দেয় যেসব দেশ ইরানের হামলা ঠেকানোর চেষ্টা করবে— এই অঞ্চলে তাদের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হবে।এদিকে ইসরায়েলে ইরানের রাতভর হামলার পর আজ শনিবার সকালে দেশটির রাজধানী তেহরানের মেহরাবাদ বিমানবন্দরে হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। সেখানে অন্তত দুটি ড্রোন অথবা মিসাইল আঘাত হানে। হামলায় বিমানবন্দরটিতে বিশাল আগুনের সৃষ্টি হয়। যা সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জ্বলছিল। ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসরায়েলের হামলার প্রায় পুরোটা সফলভাবে ঠেকিয়ে দেয়। এই হামলার পর ইসরায়েলে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। যা ঠেকাতে ব্যস্ত ইসরায়েল। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরায়েল পুরোপুরি সব মিসাইল ঠেকাতে পারবে না।
