ইরানের হামলায় তেলআবিবে প্রাণহানি অর্ধশতাধিক


ইরানের হামলায় তেলআবিবে প্রাণহানি অর্ধশতাধিক
ইরানের সশস্ত্র বাহিনী যুদ্ধবাজ ইসরাইলের বিরুদ্ধে অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ এর আওতায় ১৪তম দফার হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় এক গুচ্ছ কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র ও আত্মঘাতী ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারের হামলায় যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ নতুন ধরনের বলে দাবি করেছে ইরানের গণমাধ্যম।ইরানী সংবাদমাধ্যামের দাবি, ইসরাইলের কয়েক স্তর-বিশিষ্ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে এসব ক্ষেপণাস্ত্রের বেশিরভাগই রাজধানী তেলআবিবের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হেনেছে।ইসরাইলে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার দৃশ্য সম্প্রচার করার ব্যাপারে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যাপক মাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবারের হামলাগুলোর ছবি ও ভিডিও ব্যাপকভাবে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।এসব ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আতংকিত ইসরাইলি প্রাণভয়ে দিগ্বিদিক ছুটে পালাচ্ছে। কেউ ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছে। কেউবা আতঙ্কে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে না গিয়ে উল্টোদিকে দৌড় দিচ্ছে। এ সময় ইসরাইলিদের আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে ভয়ঙ্কর শব্দের সাইরেন।ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমের কোনো কোনো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ইসরাইলের আকাশে অন্তত ৫০টি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র দেখা গেছে। যেগুলোর মধ্যে এই প্রথমবারের মতো একাধিক প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।ইসরাইলি হতাহতের খবর প্রচার করার ওপর বিধিনিষেধ থাকলেও কোনো কোনো ইসরাইলি সূত্র কেবল বৃহস্পতিবারের হামলায় ৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে।ইরানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের হামলায় ইসরাইল সরকারের বহু কৌশলগত স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়। এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে সামরিক ও গোয়েন্দা সদরদপ্তর। এসব স্থাপনায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র নিখুঁতভাবে আঘাত হানায় ইসরাইলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমের কার্যকারিতা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে।ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) বলেছে, ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিবের একটি হাসপাতালের কাছে অবস্থিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা দপ্তরকে লক্ষ্য করে বৃহস্পতিবার হামলা চালানো হয়েছে।সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে ওই হাসপাতালের ভেতরের লোকজনকে আতঙ্কিত অবস্থায় ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে। সূত্র: ইরনা ও মেহের নিউজ