ইসরাইলি দখলদারিত্ব ও অপরাধযজ্ঞ নিয়ে যা বললেন আর্চবিশপ
অনলাইন নিউজ ডেক্স
ইসরাইলি শাসক গোষ্ঠীর মাধ্যমে জোরপূর্বক দখল করে রাখা ফিলিস্তিনি ভূমি উদ্ধারের বিষয়টি এখন একটি আইনি ও নৈতিক প্রয়োজন হয়ে দেখা দিয়েছে বলে মত দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের ক্যান্টারবেরি চার্চের আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি।
সম্প্রতি টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাস্টিন ওয়েলবি জাতিসংঘের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। যেখানে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরাইলের উপস্থিতিকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করা হয়েছে এবং এ দখলদারিত্বের অবসানের দাবি জানানো হয়েছে।
ইরনা জানিয়েছে, আর্চবিশপ ওয়েলবি ব্রিটেনসহ জাতিসংঘ সদস্যদেরকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের অবাধ্যতামূলক রায়ের প্রতি ‘ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া’ জানাতে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের মৌলিক অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের বিচারকদের প্যানেল সম্প্রতি এক রায়ে ঘোষণা করে যে, ইসরাইলি সরকারকে অবিলম্বে সমস্ত নতুন বসতি স্থাপনের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে দখলকৃত অঞ্চলে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে সব ধরনের বৈষম্যমূলক আইন ও ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে।
ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস (আইসিজে) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ওপর স্থায়ী নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকার লঙ্ঘন করার মাধ্যমে ইসরাইলের শাসকগোষ্ঠী একটি দখলদার শক্তি হিসাবে তার অবস্থানের ক্রমাগত অপব্যবহার করছে’।
এ বিষয়ে ব্রিটিশ আর্চবিশপ আরও বলেছেন, বিশ্ব এখন এমন একটা অবস্থায় পৌঁছে গেছে যেখানে নির্যাতন, জিম্মি করা এবং নির্বিচার সহিংসতার মতো ক্রিয়াকলাপ স্বাভাবিক হয়ে গেছে এবং প্রতিরোধ করাটাও অপরাধ বলে গণ্য করা হচ্ছে। তবে আমাদের অবশ্যই ভয় বা সুবিধা আদায় ছাড়াই আইন মেনে চলতে হবে।
তিনি বলেন, যদিও দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক আইনগুলোকে বেছে বেছে পদ্ধতিগতভাবে প্রয়োগ ও সমর্থন করা হচ্ছে। যা আমাদের সাধারণ শান্তি ও নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে তুলেছে। তবে এখন এ গভীর ধ্বংসাত্মক প্রবণতাকে পরিবর্তন করার সময় এসেছে।
জাস্টিন ওয়েলবি মতে, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে অধিকৃত ভূমিগুলোতে তিনি যে সফরগুলো করেছেন, তাতে তিনি এটা প্রত্যক্ষ করেছেন যে, ইসরাইলি মন্ত্রিসভার মাধ্যমে অধিকৃত অঞ্চলে আরোপিত শাসনের ফলে ফিলিস্তিনিরা ব্যাপক বৈষম্যের শিকার হয়েছে।
আর্চবিশপ বলেন, ইসরাইলি সরকার অবৈধ বসতি স্থাপনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার ইচ্ছাকে অস্বীকার করেছে এবং ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে বঞ্চিত করেছে। সেই সঙ্গে একটি সামরিক শাসন চাপিয়ে দিয়েছে, যা তাদের ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তাকে লঙ্ঘন করছে।
ব্রিটিশ আর্চবিশপ তার বক্তৃতার অন্য অংশে বলেছেন, ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানদের ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে আমি বিশেষভাবে সচেতন। এটি এমন একটি সমস্যা, যা তাদের ভবিষ্যত জীবনকে হুমকির মুখোমুখি করেছে। এখন এটা স্পষ্ট যে, দখলদারিত্বের অবসান একটি আইনি এবং নৈতিকভাবে বাধ্যতামূলক পদক্ষেপ হওয়া উচিত। সূত্র: ইরনা
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।