ইসরাইলের হুমকিতে পরমাণু কর্মসূচিতে কোনো দুর্বলতা দেখাবে না ইরান


ইসরাইলের হুমকিতে পরমাণু কর্মসূচিতে কোনো দুর্বলতা দেখাবে না ইরান
ইরান তার পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে কোনো দুর্বলতা দেখাবে না এবং এটিকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করবে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পরমাণু উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে প্রতিহত করার ঘোষণার একদিন পরই সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকাই এই মন্তব্য করলেন।জি-৭ দেশগুলোর, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং তিনটি ইউরোপীয় দেশের সামরিক, আর্থিক ও রাজনৈতিক সমর্থনকে ইসরাইলের ‘গণহত্যাকারী নীতির’ অংশ হিসেবে উল্লেখ করে বাঘাই বলেন, এই দেশগুলোর সামরিক ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপই পশ্চিম এশিয়ার অস্থিতিশীলতার মূল কারণ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই অঞ্চলকে নিরাপদ ও স্থিতিশীল করতে হলে বিদেশি শক্তিগুলোর হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।ইরান তার জনগণ, ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বৈধ অধিকার ও দায়িত্ব পালন করবে বলে মন্তব্য করেন বাঘাই। তিনি আরও বলেন, ইরানের সামরিক ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আন্তর্জাতিক আইন ও নিয়ম মেনেই গড়ে তোলা হয়েছে, যা কেবল দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই নয়, বরং পশ্চিম এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।ইরানের পরমাণু কর্মসূচির শান্তিপূর্ণ চরিত্র নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই বলেও মন্তব্য করেন বাঘাই। তিনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে দেশের প্রযুক্তিগত ও শিল্পকৌশলগত চাহিদার ভিত্তিতে পরিচালিত হয় এবং এটি পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) ও আন্তর্জাতিক পরিদর্শন সংস্থার সুরক্ষা চুক্তির অধীনে সম্পূর্ণ আইনসম্মতভাবে পরিচালিত হচ্ছে।বাকাই মধ্যপ্রাচ্যকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত অঞ্চলে পরিণত করার জন্য ইরানের দীর্ঘদিনের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন এবং বলেন, এই লক্ষ্য অর্জনের একমাত্র বাধা হলো ইসরাইলি দখলদার রাষ্ট্র।তিনি ইসরাইলের গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরির নীতিকে তীব্র নিন্দা জানান, যা জি-৭ দেশগুলোর অব্যাহত সমর্থনে সম্ভব হয়েছে। একই সময়ে ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে এবং আঞ্চলিক দেশগুলোর বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এসব কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে বলে সতর্ক করেন ইরানি মুখপাত্র।