ঈদের পর উত্তপ্ত হতে পারে রাজনীতি
অনলাইন নিউজ ডেক্স

দেশে রাজনৈতিক মাঠে নতুন মেরূকরণ হতে পারে ঈদের পর। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মাঠে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য সক্রিয় হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।তবে এ প্রতিযোগিতা দলগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে, যা রাজনৈতিক সংঘাতের নতুন ধারা সৃষ্টির ধারণা করা হচ্ছে।বিএনপি সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচন চায়, জামায়াত প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন দিতে চায় আর এনসিপি চায় গণপরিষদ নির্বাচন।এ নিয়ে দলগুলোর কর্মসূচি উত্তপ্ত হওয়ার শঙ্কা দেখছেন বিশ্লেষকরা।অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা।তবে পাঁচই অগাস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সরকার সংস্কার ইস্যুর বাস্তবায়ন নিয়ে কিছু সময় বিলম্বের আভাসও দেওয়া হয়েছে।বিএনপি ঈদের পর কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নির্বাচনি প্রস্তুতি বাড়াতে জোরেশোরে মাঠে নামবে। দলটি নির্বাচনের দাবিতে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ করবে।জামায়াতও তৃণমূলে পুনর্গঠন শুরু করেছে এবং স্বতন্ত্রভাবে সংগঠন বিস্তার করছে।এদিকে এনসিপি, যা ফেব্রুয়ারিতে আত্মপ্রকাশ করেছে, তৃণমূলে কমিটির কাজ শুরু করেছে এবং সক্রিয় হতে যাচ্ছে।জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পটপরিবর্তনের পর বদলে গেছে দেশের রাজনৈতিক হিসাবনিকাশ।অনেক বছর পর নতুন আবহে এসেছে ঈদ। আওয়ামী লীগের টানা ১৬ বছর শাসনামলে চাপে থাকা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ আরও অনেক রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের জন্য ঈদ এবার ভীষণ স্বস্তির।গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়ে গড়ে ওঠা নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি নেতাকর্মীরাও ঈদের লম্বা ছুটিতে নিজেদের প্রচারে পাচ্ছেন দারুণ সুযোগ।সব মিলিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ঈদে এবার জমে উঠবে রাজনীতির আলাপ।দেশের রাজনীতিতে এখন দুটি শব্দই সবচেয়ে বড় করে ও গুরুত্ব দিয়ে উচ্চারিত হচ্ছে ‘সংস্কার’ আর ‘নির্বাচন’।সূত্র: বিবিসি বাংলা
