ঈদে দর্শনার্থী বরণে প্রস্তুত ময়নামতি যাদুঘর, শালবন বৌদ্ধ বিহার
অনলাইন নিউজ ডেক্স

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দে দর্শনার্থীদের জন্য কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রগুলো বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরে এবার লম্বা ছুটিতে মানুষ। ঈদকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার ময়নামতি যাদুঘর, শালবন বৌদ্ধ বিহারসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলো দর্শনার্থী বরণে প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে।কুমিল্লায় পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর। বৌদ্ধ বিহার ছাড়াও পাশের রূপবানমুড়া, কোটিলা মুড়া, রাজেশপুর ইকোপার্ক ও কোটবাড়ির ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক, ব্লু ওয়াটার পার্ক, লালমাই ল্যাকল্যান্ড পার্কসহ বাণিজ্যিক পার্কগুলোতে মানুষের ভিড় জমে।ময়নামতি জাদুঘরের পাশে রয়েছে বন বিভাগের পিকনিক স্পট। শালবন বিহারের পাশে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড)।কুমিল্লায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে লালমাই পাহাড়। লালমাই পাহাড়ের সুউচ্চ চূড়ায় উঠে অনায়াসেই কুমিল্লা শহরকে দেখা যায়। এই পাহাড় এলাকা এবং এর আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অনেক প্রাচীন নিদর্শন।ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রেল ও সড়কপথে যাতায়াতের সুব্যবস্থা থাকায় দর্শনার্থীরা এখানে সহজে আসতে পারেন। ঐতিহ্যে-আভিজাত্যে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত থাকার কারণে কুমিল্লার সুনিবিড় প্রাকৃতিক পরিবেশ, ঐতিহাসিক প্রাচীন নিদর্শনসহ বিভিন্ন কারণে সমগ্র দেশ-বিদেশের জ্ঞান পিপাসু পর্যটকদের কাছে কুমিল্লার কোটবাড়ি ক্রমেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এছাড়াও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে অনেক বিনোদন কেন্দ্র। তাই এবারের ঈদে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ব্যাপক সমাগম ঘটবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণের লালবাগ নেমে পূর্ব দিকে দেড় কিলোমিটার দূরেই রাজেশপুর ইকোপার্ক। এখানে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী নোম্যান্স ল্যান্ড রয়েছে। সেখানকার সবুজ অরণ্যে পাখির কিচির-মিচির শব্দ শুনতে প্রতিদিন পর্যটকরা ভিড় জমায়।কুমিল্লায় পর্যটকদের জন্য থাকার সুব্যবস্থা হিসেবে কুমিল্লা বার্ড, জেলা পরিষদের ডাক বাংলো, হোটেল নুরজাহান থ্রি স্টার, হোটেল সাউথ-ইনসহ বিভিন্ন মানসম্মত আবাসিক হোটেল রয়েছে। সেই সঙ্গে মহাসড়কের পাশে খাবারেরও ভালো আয়োজন রয়েছে এ কুমিল্লায়। হোটেল নুরজাহান, রেড অনিয়ন, রসনার স্বাদ, নির্জন ফুড পার্কসহ রয়েছে অসংখ্য ভালোমানের খাবারের হোটেল।ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্কের এডমিন মোদাব্বির হোসেন নাসির জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দর্শনার্থীদের বিষয়টি মাথায় রেখে সব প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। লম্বা ছুটি হওয়ায় আশা করছি পর্যটকের ভরপুর থাকবে কুমিল্লার কোটবাড়ি।এদিকে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।ময়নামতি যাদুঘরের কাস্টডিয়ান মো. শাহিন আলম বলেন, অন্যান্য ঈদের মতো এবারও কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম ঘটবে বলে আশা করছি। সে লক্ষ্যে আমরা বাড়তি প্রস্তুতি নিয়েছি। পর্যটকদের সেবা দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
