এডিস রোধে প্রচলিত সব ব্যবস্থা অনুসরণ করছি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
অনলাইন নিউজ ডেক্স
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, অন্যান্য বছর শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রামে ডেঙ্গু রোগের বিস্তার লক্ষ্য করেছি। এবার সারা দেশেই ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। এর মধ্যে অনেকেই মারা যাচ্ছেন, যা আমাদের ব্যথিত করছে। ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিসের বিস্তাররোধে বিশ্বব্যাপী যেসব পদ্ধতি প্রচলিত আছে আমরা সবই অনুসরণ করছি।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগে সারা দেশে ডেঙ্গুসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে বিশেষ সভার (ভার্চুয়াল) আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সরকার বা সিটি করপোরেশনগুলো ডেঙ্গু প্রতিরোধে আগে ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। এর জবাবে তিনি বলেন, এটা একেবারেই ঠিক নয়। আগে থেকে কী ব্যবস্থা নেব? যে পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার ছিল সেটা নেওয়া হয়েছিল। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সব সময়ে মশক নিধন কার্যক্রম অব্যাহত আছে। মশা এবং ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পায় বৃষ্টি যখন শুরুর হয় তখন থেকেই।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, এজন্য আমরা ৫ জানুয়ারি সভা করেছি। সে সভা বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তারা যখন আমাদের সামনে কথা বলেন, তখন এসব উল্লেখ করেন না। সেই সভায় কীট তত্ত্ববিদরাও উপস্থিত ছিলেন। তারা তো তখন এ ব্যাপারে আমাদের কোনো দুর্বলতা আছে বলে বলেননি। আমাদের কোনো পদক্ষেপে ঘাটতি আছে কি না, সেটাও বলেননি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু জ্বর সম্পূর্ণ নির্ভর করে আবহাওয়ার ওপর। আমাদের ক্লাইমেট চেঞ্জের কারণে এটা হচ্ছে। শুধু আমাদের দেশে নয়, আজকের তথ্য হলো পৃথিবীর ১৪৮টি দেশে ডেঙ্গু মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে- পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ ডেঙ্গু রোগের ঝুঁকিতে আছেন। এ অবস্থায় আমরা আমাদের পক্ষ থেকে যেসব পদক্ষেপ নেওয়ার সেগুলো নিয়েছি।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, আরও একটা পদক্ষেপ হলো সব মানুষকে সচেতন করা। এই ডেঙ্গু রোগ মোকাবিলা করার জন্য, এডিস মশা মারার জন্য সবার অংশগ্রহণ করা। আমরা সমস্যাটা মোকাবিলা করছি কোথায়? প্রত্যেকে প্রত্যেকের স্থাপনাগুলো পরিষ্কার করছেন না। যেসব লার্ভা আছে, যেসব ডিম আছে, সেগুলো যদি পরিষ্কার করে ফেলা হয় তাহলে তো মশা থাকবে না।
তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা টেলিভিশনে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছি। কীটনাশক ওষুধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সরবরাহ করা হচ্ছে। মশারির ভেতরে অসংখ্য মশা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর স্প্রে করা হয়েছে। কয়েক মিনিট পর দেখা হয়েছে মশা মারা গেছে কিনা।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহর। আমরা যদি সচেতন না করতে পারতাম তাহলে আজকে হয়ত ঢাকা শহরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৫ থেকে ১০ লাখ হয়ে যেত।
সভার নির্দেশনার বিষয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধী কার্যক্রমে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, বিভিন্ন পৌরসভার মেয়রদের যুক্ত করা হবে। যেহেতু এডিস মশা এখন শুধুমাত্র ঢাকা শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, সেই কারণে সারা দেশব্যাপী দ্রুত কার্যক্রম শুরুর ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে। সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া। এজন্য আমরা প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি সিটি করপোরেশনগুলোকে। অন্যান্য জেলাতেও আর্থিক এবং কারিগরি কি-কি সহায়তা দিতে পারি, সেজন্য এ সভা করা।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।