এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে বড় পদক্ষেপ নিল ভারত


এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে বড় পদক্ষেপ নিল ভারত
কাশ্মীর ইস্যুতে চলমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় ধরনের এক পদক্ষেপ নিল ভারত। এবার পাকিস্তান থেকে সব ধরনের মালামাল আমদানি নিষিদ্ধ করেছে চির বৈরী এই প্রতিবেশী। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা এবং জননীতির স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।শনিবার প্রকাশিত এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সব ধরনের আমদানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার। এছাড়া ভারতের বন্দরে পাকিস্তানি কোনো জাহাজ ভিড়তে পারবে না বলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।এদিন ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান থেকে উৎপন্ন বা রপ্তানিকৃত সমস্ত পণ্যের সরাসরি বা পরোক্ষ আমদানি বা ট্রানজিট, তা মুক্তভাবে আমদানিযোগ্য হোক বা অন্যথায় অনুমোদিত হোক- জাতীয় নিরাপত্তা এবং জননীতির স্বার্থে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একমাত্র বাণিজ্যপথ ওয়াঘা-আটারি ক্রসিং পহেলগাঁও হামলার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপরও পাকিস্তান থেকে পরোক্ষ আমদানি চালু ছিল।পাকিস্তান থেকে আমদানি পণ্য মূলত ওষুধ, ফল এবং তৈলবীজ। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর থেকে কয়েক বছর ধরে এসব পণ্যের আমদানিও কমে গেছে। এর আরও একটি কারণ হলো, ভারত পাকিস্তানি পণ্যের ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। ফলে ২০২৪-২৫ সালে ভারতের মোট আমদানির ০.০০০১% এরও কম ছিল পাকিস্তানি পণ্য।এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে (আইএমএফ) পাকিস্তানে বিতরণ করা ঋণের বিষয়টি পর্যালোচনা করার অনুরোধ জানিয়েছে ভারত। শুক্রবার (২ মে) ভারত সরকারের একটি সূত্র রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে।আর এর মধ্য দিয়ে কাশ্মীরে এক প্রাণঘাতী হামলার পর দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশীদের মধ্যে উত্তেজনায় নতুন মাত্রা পেল।সূত্র বলছে, গত বছর পাকিস্তান আইএমএফ থেকে ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পেয়েছে। মার্চ মাসে ১.৩ বিলিয়ন ডলারের নতুন জলবায়ু স্থিতিস্থাপক ঋণ পেয়েছে।এই কর্মসূচিটি ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তান বলেছে, এই ঋণ তাদের অনেক অর্থনৈতিক হুমকি এড়াতে সাহায্য করেছে।এদিকে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই সফলভাবে ৪৫০ কিলোমিটার পাল্লার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান। ‘আব্দালি উইপন সিস্টেম’ নামের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি শনিবার ‘সিন্ধু মহড়া’র অংশ হিসেবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ।এসব ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের পাশাপাশি সামরিক প্রস্তুতিও বাড়ছে। তারই মধ্যে পাকিস্তানের এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।