কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশায় থেমে নেই পত্রিকা হকার হাফিজুর


ডিজিটাল বাংলাদেশে বর্তমানে অনলাইনের জয়জয়কার মুহুর্তেও পাঠক প্রিয়তা রয়েছে প্রিন্ট মিডিয়ার। একসয় দেশ বিদেশের খবর জানার অন্যতম মাধ্যম ছিল পত্রিকা। এখনও মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেওয়া হয় পত্রিকা। আর এই পৌছানোর কাজ গুলো যিনি করেন, তারা হলেন অবহেলিত হকার। আর এর মধ্যে যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার বন্দবিলা ইউনিয়নের গাইদঘাট গ্রামের মৃত মোজাহার মোল্যার ছেলে হাফিজুর রহমান। চার ভাই বোনের মধ্যে বড় হাফিজুর রহমান, সংসারের বড় সন্তান হওয়ায় জীবন জীবিকার তাগিদে বাবাকে আর্থিক সাহায্যের জন্য নেমে পড়েন কাজে । এলাকার বিশিষ্ট সাংবাদিক লক্ষণ চন্দ্র মন্ডল এর পরামর্শে শুরু করেন পত্রিকা বিলি করার কাজ। সরকারি অফিস, ব্যাংক, দোকানপাটসহ জনগণের দ্বারপ্রান্তে পত্রিকা পৌঁছে দেন তিনি। রোদ-বৃষ্টি,দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে প্রায় বিশ বছর ধরে পত্রিকা বিলি করার কাজ করে চলেছেন হাফিজুর রহমান, এমনকি মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুরভাবের মধ্যও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংসার চালানোর তাগিদে পত্রিকা বিলি করেছেন তিনি। সাত সকালে পত্রিকা পাঠকের হাতে পত্রিকা পৌঁছে দেওয়া যেন তার কাজ। কিন্তুু বর্তমানে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায়া ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের কারনে সংবাদপত্রের পাঠক কমে যাওয়ায় পত্রিকা বিক্রি কম হওয়ায় পাঁচ সদস্যের পরিবার নিয়ে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির বাজারে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন হাফিজুর । বর্তমানে কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশায় থেমে নেই হাফিজুর, অনেক কষ্ট করেও চালিয়ে যাচ্ছেন পত্রিকা সরবরাহর কাজ। যদিও সুদিনের অপেক্ষায় আছেন তিনি। আগের মত সরকারী অফিসে পত্রিকা রাখেনা অনেক ব্যাংক ও সরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ীরাও দোকান পাটে পত্রিকা রাখেনা। বর্তমানে পত্রিকা কম চলে আর পত্রিকা কম বিক্রি হওয়ার জন্য হাফিজুর খুবই দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। রাজধানী সহ খুলনা, যশোর থেকে পত্রিকা আসার পর জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা বিলি করে মাস শেষে যা আয় হয় বর্তমান বাজারে স্ত্রী সন্তান নিয়ে সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছে হাফিজুর। বাঘারপাড়া উপজেলায় বাড়ি এবং শালিখায় কর্মস্থল হওয়ায় সকল সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত হাফিজুর রহমান সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। হকারদের জীবন মানোনয় কল্পে জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার ঘোষণা বাস্তবায়নে সচেষ্ট স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন \"আইন ও অধিকার বাস্তবায়ন ফোরাম\" এর অন্যতম পরিচালক ও শ্রীইন্দ্রনীল এ্যান্ড এ্যাসোসিয়েটস\" এর প্রধান সংগঠক শিক্ষক ও গবেষক শ্রীইন্দ্রনীল বিশ্বাস সংবাদ মাধ্যম মালিক, বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদেরকে এব্যপারে সময়োচিত পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করেছেন।