কয়লায় কৌশলে লুট ৭৫১ কোটি টাকা
অনলাইন নিউজ ডেক্স
দেশের একমাত্র খনি থেকে কয়লা কিনে ৭৫১ কোটি টাকা লুট করা হয়েছে। বড়পুকুরিয়ার কয়লাতে পানির আর্দ্রতা (ময়েশ্চার) অর্থাৎ পানির পরিমাণ পুনর্নির্ধারণ না করে কৌশলে লুটপাট চলে। একাধিক বিশেষজ্ঞ কমিটি, বিদেশি কোম্পানি ও সরকারি বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান কয়লাতে পানির মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্ত জ্বালানি খাতের শক্তিশালী সিন্ডিকেট তা আমলে না নিয়ে ঠিকাদারকে পুরো বিল পরিশোধ করে।
এতে গত ১৯ বছরে কয়লার সঙ্গে পানি বিক্রি করে ৭৫১ কোটি টাকা অতিরিক্ত নিয়ে গেছে বড়পুকুরিয়ার বিদেশি ঠিকাদার এক্সএমসি-সিএমসি। জানা সত্ত্বেও সরকার পানি মেশানো কয়লা কিনে বিপুল অঙ্কের টাকা গচ্চা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এ নিয়ে একাধিকবার ফাইল পাঠানো হলেও তৎকালীন জ্বালানি সচিব আবু হেনা রহমাতুল মুনিম সেটি কার্যকর করেনি।
লুটেরারা এতটাই ক্ষমতাধর ছিল খোদ বিদেশি বিশেষজ্ঞ কোম্পানির ফিজিবিলিটি স্টাডি রিপোর্টও গুরুত্ব দেয়নি। সাবেক জ্বালানি সচিব আবু হেনা রহমাতুল মুনিম, বড় পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান খান ও বড় পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ঠিকাদার এক্সএমসি-সিএমসির গঠিত সিন্ডিকেট এই লুটপাটের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। পুরস্কার হিসাবে কামরুজ্জামান খানকে পরে পেট্রোবাংলার পরিচালক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। নেপথ্যে থেকে তাদের সহায়তা করেছেন শেখ হাসিনার এক উপদেষ্টা ও সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
অভিযোগ আছে, লুটপাটের ৭৫১ কোটি টাকার বেশিরভাগ এই সিন্ডিকেট ভাগবাঁটোয়ারা করে নিয়েছে। এ অবস্থায় দুর্নীতি দমন কমশন (দুদক) পুরো লুটপাটের বিষয়টি আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এজন্য দুদকের ২ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। উপপরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে এই টিম গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানের লক্ষ্যে দুদক বেশকিছু তথ্য চেয়ে সম্প্রতি পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে বড় পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি ও এক্সএমসি-সিএমসি কনসোর্টিয়ামের মধ্যকার চুক্তি, কয়লার সিস্টেম লস সংক্রান্ত পেট্রোবাংলা গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি ও বিভিন্ন ল্যাবরেটরি রিপোর্টগুলো চাওয়া হয়েছে। এছাড়া বিসিএমসিএল কর্তৃক উত্তোলিত কয়লাতে পানির আর্দ্রতার (ময়েশ্চার) গড় মান ৫.১ ও ২.৫৮ সংক্রান্ত রিপোর্ট চেয়েছে দুদক।
জানা গেছে, ৪টি চুক্তির মাধ্যমে চীনের কোম্পানি এক্সএমসি-সিএমসি বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে এ পর্যন্ত ১৪.৫৬ মিলিয়ন টন কয়লা বিক্রি করেছে। প্রথম চুক্তিতে কয়লার সঙ্গে পানির পরিমাণ কতটুকু সহনীয় হবে সেটা নির্ধারিত ছিল না। কিছু কয়লা বিক্রির পর দেখা গেছে তাতে বিপুল পরিমাণ পানি থাকছে।
এরপর ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে পানির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য স্কেল বসানো হয়। এরপর তিনটি বিশেষ কোম্পানির মাধ্যমে ইনহারেন্ট ময়েশ্চারের গড় মান নির্ধারণ করা হয়। এতে একটির মান ৪.৫ শতাংশ, অন্যটির মান ৫.৬৯ শতাংশ এবং আরেকটির গড় মান ৫.১ শতাংশ আসে। এতে কয়লাতে ৫.১ শতাংশ পানি ধরে ঠিকাদারকে বিল প্রদান করার সিদ্ধান্ত হয়। এক্সএমসি-সিএমসির সঙ্গে ২০১১ সালে দ্বিতীয় এবং ২০১৮ সালে তৃতীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
তৃতীয় চুক্তির মেয়াদে নর্থ সাউথ ফিজিবিলিটি স্টাডি নামক একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ওই স্টাডিতে কয়লায় পানির পরিমাণ সর্বনিম্ন ১.৭ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ হওয়ায় তখন গড় মান নির্ধারণ করা হয় ৩.৩৮ শতাংশ। আগের ৫.১ শতাংশের সঙ্গে নতুন গড় মানের তফাত দেখা দিলে পেট্রোবাংলা থেকে ৮ সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির সদস্যরা বুয়েটসহ একাধিক বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে বসে পানির গড় মান ফের ২.৫৮ নির্ধারণ করে। সেটি অনুমোদনের জন্য জ্বালানি বিভাগের কাছে পাঠানো হয়। ফাইলে বলা হয়, খোদ ঠিকাদার কোম্পানিও এই ২.৫৮ মানে সম্মত আছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তৎকালীন জ্বালানি সচিব আবু হেনা রহমাতুল মুনিম তা অনুমোদন না করে আগের ৫.১ শতাংশ হারে বিল প্রদানের জন্য নির্দেশনা দেন।
তাতে কয়লার সঙ্গে অতিরিক্ত পানি কিনে প্রথম চুক্তিতে ঠিকাদারকে ২০২ কোটি টাকা বেশি বিল দেওয়া হয়। একইভাবে দ্বিতীয় চুক্তিতেও আর্দ্রতা ঠিক না করে ৩০৫ কোটি টাকার অতিরিক্ত পানি ক্রয় করা হয়। তৃতীয় চুক্তিতেও পানি ক্রয় করা হয় ১৮৫ কোটি টাকার। আর চতুর্থ চুক্তিতে আগস্ট পর্যন্ত পানি কেনা হয় ৫৯ কোটি টাকার। সব মিলিয়ে গত ১৯ বছরে কয়লার নামে সরকার পানি ক্রয় করে ৭৫১ কোটি টাকার। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, প্রথম চুক্তিতে পানির পরিমাণ ৫.১ শতাংশ সহনীয় থাকলেও বাস্তবে ১০ শতাংশ পানিসহ কয়লা কিনত বড়পুকুরিয়া। তাতে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হলে লুটপাটের এই অঙ্ক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেত।
খোদ জ্বালানি বিভাগের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, চুক্তি অনুযায়ী আর্দ্রতা সংশোধনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও জ্বালানি বিভাগের এমন সিদ্ধান্ত সরকারের স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, যেহেতু চীনা ঠিকাদার আর্দ্রতার মাত্রা ২.৫৮ করতে রাজি ছিলেন সেহেতু প্রস্তাবটি নাকচ করা ঠিক হয়নি।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, শুরুতে কোনো ধরনের যুক্তিসঙ্গত তথ্যের ভিত্তিতে বড়পুকুরিয়া কয়লার আর্দ্রতার মাত্রা ৫.১ নির্ধারণ করা হয়নি। যেহেতু সর্বশেষ আর্দ্রতার মাত্রা ২.৫৮ একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে কেন তা বাস্তবায়ন করা হলো না, সেটি অবশ্যই রহস্যজনক। তিনি মনে করেন, জ্বালানি বিভাগ বিষয়টি না বুঝেই এটা করেছে। অথবা এটি কোনো ষড়যন্ত্র হতে পারে।
বিসিএমসিএল সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ চুক্তিতে কয়লা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৫ লাখ টন। আর্দ্রতা ঠিক না করায় এই পরিমাণ কয়লার মধ্যে শুধু অতিরিক্ত পানি থাকবে (২.৫৮ হারে) ১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টন।
কয়লার মূল্য প্রতি টন ২২ হাজার টাকা হারে এই ‘পানি’র মূল্য হবে ২৪৭ কোটি টাকা। তবে আগস্ট পর্যন্ত সরকার কয়লার নামে পানি কিনেছে ২০২ কোটি টাকা। অভিযোগ আছে, পেট্রোবাংলা থেকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব জ্বালানি বিভাগে গেলে সবাই প্রস্তাবের পক্ষে মত দিলেও জ্বালানি সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নেন। প্রস্তাব ফেরত পাঠানো ফাইলে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ৭ জুলাই পর্যন্ত চীনা কোম্পানির সঙ্গে ৫.১ শতাংশ হারে পানি মেশানোর চুক্তি আছে। এ অবস্থায় নতুন করে ত্রিপক্ষীয় কমিটির মাধ্যমে কয়লার পানির ঘনত্ব নির্ণয়ের প্রয়োজনীয়তা আছে মর্মে প্রতীয়মান হয় না।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চীনা ঠিকাদারের সঙ্গে এর আগের চুক্তিতে কয়লার সঙ্গে পানির পরিমাণ নিয়ে ভয়াবহ লুটপাট ও অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। ওই চুক্তিতে পানির পরিমাণ ৫.১ ধরা হলেও বাস্তবে তা ছিল ১০ শতাংশের বেশি।
পেট্রোবাংলার এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ২০১৮ সালে যে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছিল তাতে বুয়েটসহ দেশের বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞ কমিটি পানির আর্দ্রতা ২.৫৮ শতাংশ নির্ধারণ করে, যা আগের আর্দ্রতার চেয়ে ২.৪৩ শতাংশ কম। চীনা ঠিকাদার এক্সএমসি-সিএমসি কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে নতুন আর্দ্রতার মাত্রা নিয়েও একাধিক বৈঠক করে বিসিএমসিএল।
দুপক্ষের বৈঠকের পর পানির পরিমাণ ২.৫৮ শতাংশ নির্ধারণে সম্মত হয় চীনা ঠিকাদার এক্সএমসি-সিএমসি কনসোর্টিয়াম। প্রথমে চীনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আর্দ্রতা পুনর্নির্ধারণে রাজি ছিল না। পরে এ নিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য ফাঁস হয়ে পড়ায় চীনা ঠিকাদারও ভয় পেয়ে যান। একপর্যায়ে শর্তসাপেক্ষে রাজি হন। শর্ত হলো-আগের চুক্তির ক্ষেত্রে যেন এর প্রভাব না পড়ে। বিএসসিসিএল এতে সায় দেয়। এরপর ফাইল পাঠানো হয় জ্বালানি সচিব বরাবর। বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি (বিসিএমসিএল) এবং চীনা ঠিকাদার এক্সএমসি-সিএমসি কনসোর্টিয়ামের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির কপি চাওয়া হয় পেট্রোবাংলার কাছে। সে সময় পেট্রোবাংলা সবকিছু উপস্থাপন করে। কিন্তু এত কিছুর পর বাদসাধেন তৎকালীন সচিব ।
অভিযোগ উঠেছে, কয়লায় পানির মাত্রা ২.৫৮ করার প্রস্তাবে চীনা ঠিকাদার রাজি হলেও ফাইলটি মন্ত্রণালয়ে আসার পর একটি সিন্ডিকেট সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ নিয়ে বড় ধরনের ডিল হয়। তাতেই সবকিছু ভন্ডুল হয়ে যায়। অভিযোগ আছে, এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে তদবির করেন সাবেক সচিবের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। তিনি দীর্ঘদিন পেট্রোবাংলার পরিচালক হিসাবে চাকরি করে এখন অবসর জীবনযাপন করছেন। পাশাপাশি পেট্রোবাংলার অধীন বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ড ও জিটিসিএলে (গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড) ঠিকাদারি করছেন। এই আত্মীয়ের সঙ্গে চীনা ঠিকাদারের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ হয়। এই আত্মীয় পেট্রোবাংলায় আসার আগে তিতাস গ্যাস কোম্পানির প্রভাবশালী কর্মকর্তা ছিলেন। এক সময় তিনি পোস্টিং পান মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানির শীর্ষ পদে। সে সময় তিনি পদাধিকার বলে কিছু দিন বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সদস্য ছিলেন। মূলত তখন থেকেই চীনা ঠিকাদারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা।
অভিযোগ আছে, দ্বিতীয় চুক্তি শেষে চীনা ঠিকাদারের জামানত ফেরত প্রদানেও এই আত্মীয়র বড় ভূমিকা ছিল। কারণ হিসাবে অনেকে বলেছেন, তদন্ত কমিটি চীনা ঠিকাদারের জামানতের টাকা ফেরত দেওয়ার আগে একজন আইন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে বলে। কিন্তু বড়পুকুরিয়ার এমডি যে আইন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েছিলেন তিনিও সচিবের আত্মীয়র ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং তারা একসঙ্গে তিতাস গ্যাস কোম্পানিতে চাকরি করেছেন।
একজন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বলেন, জ্বালানি সচিবের পরামর্শে পেট্রোবাংলা এবং বিসিএমসিএল আর্দ্রতা পুনর্নির্ধারণ করে। সেখানে জ্বালানি বিভাগ সেটি নাকচ করে দেওয়ার রহস্য কী? তার মতে, মূলত কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে দর বাড়ানোর জন্যই সিন্ডিকেট এই নাটকটি মঞ্চস্থ করেছিল। টার্গেট চূড়ান্ত হওয়ার পর তা বাতিল হয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগের সাবেক সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সঙ্গে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার চুক্তিভিত্তিক পরিচালক কামরুজ্জামান খান বলেন, আমি যতদিন এমডি ছিলাম চুক্তির বাইরে কিছু করিনি। প্রথম দফায় কয়লাতে পানির পরিমাণ ৫.১ শতাংশ বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। পরে কয়লায় পানির পরিমাণ আরও বেড়ে যাওয়ার তা নির্ধারণের জন্য একাধিক প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাতে বিভিন্ন কোম্পানি ভিন্ন ভিন্ন রেট দেয়। পরে এর গড় বের করা হয় ৩.৩৮ শতাংশ আর সেটাই বাস্তবায়ন করা হয়। ২.৫৮ শতাংশ গড় অনুপাত ছিল না। সেটি ছিল অপর একটি কোম্পানির ফলাফল। এখানে বিল নিয়ে কোনো অনিয়ম হয়নি বলেও তিনি জানান।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।