কিছু ট্রেন বিলম্বে চললেও যাত্রীদের মুখে হাসি


কিছু ট্রেন বিলম্বে চললেও যাত্রীদের মুখে হাসি
রেলপথে ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে শনিবার থেকে। স্টেশন, ট্রেনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় সেদিন তেমন চোখে না পড়লেও যাত্রার দ্বিতীয় দিন রোববার যাত্রীচাপ কিছুটা বেড়েছে।এদিন ৫ থেকে ৭টি ট্রেন বিলম্বে চলাচল করলেও যাত্রীদের পক্ষ থেকে তেমন কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ঘরমুখো মানুষের চোখেমুখে ছিল আনন্দের ছাপ।রোববার ৪৩ জোড়া আন্তঃনগর ও ২৬ জোড়া মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন কমলাপুর থেকে ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামগামী চট্টলা সোয়া ২ ঘণ্টা এবং সিলেটগামী এক্সপ্রেস প্রায় আড়াই ঘণ্টা বিলম্বে কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে।এছাড়া সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও রংপুরগামী আন্তঃনগর রংপুর এক্সপ্রেস ২০ মিনিট বিলম্বে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর বিলম্বিত হয় সিলেটগামী জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস (৭১৭) ও তারাকান্দিগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস (৭৩৫)।জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও দুপুর ১টায় ছেড়ে গেছে। অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও তা ছাড়া হয় দুপুর পৌনে ২টায়।কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার সাজেদুল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে বেশিরভাগ ট্রেনই নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে গেছে। কিছু ট্রেন বিলম্বে চলছে। তবে শিডিউল অনুযায়ী ট্রেন পরিচালনা করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী শাহজাহান মিয়া বলেন, ট্রেন সময়মতো চললে ভালো লাগে। ঈদযাত্রা বলে কথা। তবে একটু দেরিতে ছাড়লেও খুশিই লাগছে।এদিকে রোববার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের। অনেক যাত্রীকে বৃষ্টিতে ভিজে কমলাপুর স্টেশনে আসতে দেখা গেছে। স্টেশন প্ল্যাটফর্মেও অনেককে জটলা বেঁধে বসে থাকতে দেখা গেছে। তারা বিলম্বে চলা ট্রেনের সাধারণ যাত্রী।রেলওয়ে বিভাগীয় প্রধান পরিবহণ কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কমলাপুরসহ বিভিন্ন স্টেশনে অবস্থান করাসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর রাখছেন। কিছু ট্রেন বিলম্বে চলছে স্বীকার করে তিনি বলেন, শনিবার ঝড় বৃষ্টির কারণে বিলম্ব হয়েছে। তবে রোববার কিছুটা বিলম্বে ট্রেনগুলো ছেড়ে গেছে। আমরা সতর্কাবস্থানে আছি। যাত্রী নিরাপত্তা ও শিডিউল ঠিক রেখে ট্রেন পরিচালনা করতে আমারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।