কৃষি জমির মাটি কাটার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ


চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কাটার ঘটনায় দায়ীদের খুঁজে বের করতে বিচারিক তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে এক মাসের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। ওই ঘটনায় তলবে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ চারজনকে অনলাইনে সংযুক্ত থাকার পর মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ ছাড়া সাতকানিয়ার যেসব কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কাটা হয়েছে, তা বাইরে থেকে পলিমাটি এনে ৩০ দিনের মধ্যে ভরাট এবং কৃষি উপযোগী করতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রামের ডিসি-এসপিকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির টপসয়েল। কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না ফসলি জমির মাটি কাটা। রাতের অন্ধকারে যে যেভাবেই পারছে স্কেভেটর (মাটি খননযন্ত্র) দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে ডাম্পারযোগে (মিনি ট্রাক) ইটভাটায় সরবরাহ করছে। উপজেলার প্রতিটি এলাকায় সিন্ডিকেট করে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে আব্দুল মুনাফ নামের স্থানীয় একজন বাসিন্দা হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ১৯ মার্চ টপসয়েল কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ আদেশের পরও টপসয়েল কাটা অব্যাহত থাকার বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়। এরপর ২২ এপ্রিল আদালত সংশ্লিষ্টদের অনলাইনে তলব করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী উজ্জ্বল পাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।