প্রকাশিতঃ সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩
৯:৪০ অপরাহ্ণ

আন্তর্জাতিক

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।  এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*।  ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে।  আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫।  এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে।  রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের  অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি:  উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।  বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।

আরও খবর

কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরে হামলায় ইউক্রেনকে সহযোগিতা করেছে পশ্চিমারা: রাশিয়া


কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরে হামলায় ইউক্রেনকে সহযোগিতা করেছে পশ্চিমারা: রাশিয়া
মস্কো অভিযোগ করেছে, ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরের সদর দফতরে হামলায় ইউক্রেনকে সহযোগিতা করেছে কিয়েভের পশ্চিমা মিত্ররা। বুধবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নারী মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, পশ্চিমাদের গোয়ন্দা তথ্য, ন্যাটোভুক্ত দেশের উপগ্রহ ও গোয়েন্দা বিমান নৌবহরের সদর দফতরে হামলায় কাজে লাগানো হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।মারিয়া জাখারোভা এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, কোনও সন্দেহ নেই অত্যাধুনিক পশ্চিমা গোয়েন্দা ব্যবস্থা, ন্যাটোর উপগ্রহ ও গোয়েন্দা ব্যবহার করে এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আর বাস্তবায়ন করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার পরামর্শ ও তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে।তিনি আরও বলেছেন, এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর ব্যর্থ পাল্টা আক্রমণের ওপর থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়া, মানুষকে ভয় দেখানো এবং সমাজে আতঙ্ক ছড়ানো।মস্কো বারবার দাবি করে আসছে, কিয়েভকে অস্ত্র ও গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করে এবং রুশ স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনায় ইউক্রেনীয় সেনাদের সহযোগিতা করে ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো মিত্ররা।সত্যতা নিশ্চিত হওয়া খবরে দাবি করা হয়েছে, হামলায় স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনকে সরবরাহ করেছে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।জাখারোভার সমালোচনার আগে রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের উপ-প্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ মঙ্গলবার বলেছিলেন, ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্র আব্রামস ট্যাংক পাঠিয়ে ও অজ্ঞাত সংখ্যক দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ন্যাটোকে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার কাছাকাছি নিয়ে আসছে।সোমবার ইউক্রেনের স্পেশাল ফোর্স তাদের টেলিগ্রামে দাবি করেছিল, রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরের সদর দফতরে শুক্রবার চালানো হামলায় ৩৪ রুশ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন নৌবহরের কমান্ডার ভিক্টর সোকোলভ। হামলায় আরও ১০৫ জন আহত হয়েছেন। তবে রাশিয়া দুটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যাতে সোকোলভকে দেখা গেছে বলে দাবি করা হয়েছে। এর ফলে ইউক্রেনের এই দাবির সত্যতা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।২০১৪ সালে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ক্রিমিয়া দখল করে মস্কো। এই দখলকে স্বীকৃতি দেয়নি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এখানে রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরীয় নৌবহর মোতায়েন রয়েছে। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে ক্রিমিয়াকে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ রসদ ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া। রুশদের দখল থেকে ভূখণ্ডটি পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।