কেন্দুয়ায় তিন দিনব্যাপী ‘জালাল মেলা’ উদযাপনে প্রস্তুতি সভা


একুশে পদক প্রাপ্ত মরমী বাউল সাধক জালাল উদ্দিন খাঁ এর ১৩০তম জন্মদিন উপলক্ষে আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে তিন দিনব্যাপী জালাল মেলা উদযাপনে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে সভায় মুক্ত আলোচনায় মতামত ব্যক্ত করেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম, কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনামুল হক পিপিএম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. বজলুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান, কেন্দুয়া বাজার কমিটির সভাপতি এনামুল হক ভূঞা, সংগীত শিল্পী জহুরুল হক খান স্বপন, দিল বাহার খান, প্রদীপ কুমার পন্ডিত, নাট্যকার সাংবাদিক রাখাল বিশ^াস, সাংবাদিক সমরেন্দ্র বিশ^শর্মা, মহিউদ্দিন সরকার, মাঈন উদ্দিন সরকার রয়েল, জিয়াউর রহমান জীবন প্রমুখ। সভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাজিব হোসেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা বেগম সুমী, নেত্রকোনা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য সালমা আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান ভূইয়া, কেন্দুয়া সরকারি কলেজের প্রভাষক বদিউজ্জামান বকুলসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, জালাল উদ্দিন খাঁ ১৮৯৪ সালের ২৫ এপ্রিল কেন্দুয়া উপজেলার আসদহাটি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন এবং ১৯৭২ সালের ৩১ জুলাই পরলোক গমন করেন। জালাল খাঁ’র লেখা গানগুলো ‘জালাল গীতি’ নামে ৫টি খ-ে প্রকাশিত হয় এবং ‘বিশ^রহস্য’ নামেও একটি প্রবন্ধের বই রয়েছে তাঁর। জালাল খাঁর সবগুলো গান নিয়ে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক যতীন সরকারের সম্পাদনায় ‘জালাল গীতিকা সমগ্র’ নামে বৃহৎ কলেবরের একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। জালাল উদ্দিন খাঁ-কে শিল্পকলায় (সংগীত) বিশেষ অবদানের জন্য ২০২৩ সালে (মরণোত্তর) একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের সিংহেরগাঁও গ্রামে জালাল উদ্দিন খাঁর সমাধি রয়েছে। এই সাধকের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রতি বছরই দেশ বিদেশের শত শত ভক্তবৃন্দ শ্রদ্ধা জানাতে সিংহেরগাঁও গ্রামে জালাল সমাধি প্রাঙ্গণে এসে মিলিত হন।