ক্যাপকাটের রেকর্ড ভাঙল ‘ইনস্টাগ্রাম এডিটস’, কী আছে এই অ্যাপে?


ক্যাপকাটের রেকর্ড ভাঙল ‘ইনস্টাগ্রাম এডিটস’, কী আছে এই অ্যাপে?
সামাজিক মাধ্যম জায়ান্ট মেটা আবারো প্রমাণ করল, তাদের বিশাল নেটওয়ার্কের শক্তি কতটা প্রভাবশালী। টেকজায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি ‘ইনস্টাগ্রাম এডিটস’ নামে একটি নতুন ভিডিও এডিটিং অ্যাপ উন্মোচন করেছে, যা মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ৭১ লাখের বেশি ডাউনলোডের মাইলফলক ছুঁয়েছে। জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং অ্যাপ ক্যাপকাটের সূচনালগ্নের রেকর্ডকেও পেছনে ফেলেছে এডিটস। খবর টেকক্রাঞ্চ।অ্যাপ বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান অ্যাপফিগারসের তথ্যমতে, মুক্তির প্রথম দুই দিনেই আইওএস প্ল্যাটফর্মে এডিটসের ডাউনলোড ছিল প্রায় ৭ লাখ ৩ হাজার, যা ক্যাপকাটের তুলনায় প্রায় ৩৭ গুণ বেশি।শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রথম তিন দিনে অ্যাপটি ডাউনলোড হয়েছে তিন লাখ ৮১ হাজার বার, যেখানে ক্যাপকাটের ছিল মাত্র ৩ হাজার ৪০০। প্রথম দিনেই ইনস্টাগ্রাম এডিটস ইউএস অ্যাপ স্টোরের শীর্ষে উঠে আসে।বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মেটার বিস্তৃত ইকোসিস্টেমের কারণেই এডিটস দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। বর্তমানে ক্যাপকাটের মোট বৈশ্বিক ডাউনলোড সংখ্যা ১২২ কোটির বেশি হলেও, এডিটসের উত্থান নতুন প্রতিযোগিতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।তবে সবকিছুর মধ্যেও এডিটস ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে কিছু সমালোচনার মুখে পড়েছে। বিশেষ করে, ক্যাপকাটের তুলনায় উন্নত ফিচারের অভাব অনুভূত হচ্ছে অনেকের কাছে। তাই মেটার জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ হবে, ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশা মেটাতে নিয়মিত আপডেট ও ফিচার যোগ করা। নতুন এ লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসবে, তা সময়ই বলে দেবে।নতুন ভিডিও এই এডিটিং অ্যাপ ‘এডিটস’ iOS এবং Android উভয় ব্যবহারকারীরা ব্যবহারের সুবিধা পাবেন৷ এই অ্যাপে দেওয়া বিভিন্ন এইআই টুল ব্যবহার করে, ব্যবহারকারীরা তাদের ভিডিওগুলো আগের থেকে আরও সৃজনশীলভাবে এডিট ও পাবলিশ করতে পারবেন। নতুন ফিচারটি কন্টেন্ট নির্মাতাদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী হবে। এই অ্যাপের সাহায্যে অ্যানিমেটেড ভিডিও তৈরি করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা ।অ্যাপটি ডাউনলোডের করা যাচ্ছে‘এডিটস’ অ্যাপটি এখন গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে ডাউনলোডের জন্য।এডিটস অ্যাপে কী কী সুবিধা রয়েছে?মেটার পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে, এই নতুন এডিটস অ্যাপটি চালুর উদ্দেশ্য হল ইনস্টাগ্রাম নির্মাতাদের তাদের সৃজনশীল ভিডিওগুলো ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে যেকোনো প্ল্যাটফর্মেও যাতে পাওয়া যায় সেই দিকে লক্ষ্য রাখা। নতুন অ্যাপটি মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা উচ্চমানের ভিডিও এডিট থেকে শুরু করে দ্রুত সেগুলো আপলোড করতে পারেবন ৷উপরন্তু, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা তাদের ক্যামেরা সেটিংসের ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন। ব্যবহারকারী পছন্দ মতো এই অ্যাপে ফ্রেম রেট, রেজোলিউশন সামঞ্জস্য করতে পারবেন৷ এই অ্যাপের ব্যবহারকারীরা ইনস্টাগ্রামের তুলনায় ১০ মিনিটের ভিডিও এডিট করতে পারবেন। এই অ্যাপে টাচআপ, ওয়ান-ট্যাপ গ্রিন স্ক্রিন, মিউজিক ক্যাটালগ, টাইমার এবং কাউন্টডাউনের মতো অতিরিক্ত সুবিধাগুলিও অ্যাক্সেস করা যাবে।স্টিল ছবি দিয়ে ভিডিওএই অ্যাপটিতে একাধিক আধুনিক ফিচার ব্যবহার করা হয়েছে। ভিডিও ক্লিপের যে অংশে অ্যানিমেট করতে চান সেটাও সম্ভব। এমনকি এআই ইমেজ অ্যানিমেশন ফিচার ব্যবহার করে স্থির ছবিগুলোকে ভিডিও করা যাবে। শুধু তাই নয়, ব্যবহারকারীরা সবুজ স্ক্রিন এবং ভিডিও ওভারলে ফিচার ব্যবহার করে তাদের ভিডিও ক্লিপের ব্যাকগ্রাউন্ডও পরিবর্তন করতে পারবেন। এই অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ধরণের টাইপফেস, শব্দ, ভয়েস এফেক্ট, ফিল্টার, স্টিকার ব্যবহারের সুবিধা দেবে। যদি আপনার ভিডিও ক্লিপে ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েজ থাকে, তবে সেটি মুছেও ফেলা যাবে। ভিডিওটি তৈরি করে, ক্যাপশন দেওয়ার জন্য স্বয়ংক্রিয় ক্যাপশন অপশন থাকবে।