গভর্নরকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব, যেসব সুবিধা পাবেন
অনলাইন নিউজ ডেক্স
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষজ্ঞদের মতামতের আলোকে সম্প্রতি এমন প্রস্তাবনা দিয়ে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশ (সংশোধন) ২০২৫’ এর খসড়া করা হয়েছে।এটি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অর্থ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
বর্তমানে রাষ্ট্রীয় মার্যাদাক্রম বিন্যাসের (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স, ১৯৮৬) পঞ্চদশ অবস্থানে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
একই অবস্থানে রয়েছেন- অ্যাটর্নি জেনারেল, কম্পোটলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল ও ন্যায়পাল। গভর্নরের অবস্থান মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিবের নিচে। তবে মর্যাদার দিক থেকে সরকারের সচিবদের ওপরে তার অবস্থান।
প্রধানমন্ত্রী ‘দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স (রেমুনারেশেন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) (অ্যামেন্ডমেন্ট) আইন, ২০১৬’ এবং মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা ‘দ্য মিনিস্টারস, মিনিস্টার অব স্টেট অ্যান্ড ডেপুটি মিনিস্টারস (রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) (অ্যামেন্ডমেন্ট) আইন, ২০১৬’ অনুযায়ী বেতন-ভাতা ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন।
একজন মন্ত্রী যেসব সুবিধা পেয়ে থাকেন
একজন মন্ত্রী মাসে বেতন পান ১ লাখ পাঁচ হাজার টাকা। এছাড়া দৈনিক ভাতা পান ২ হাজার টাকা, নিয়ামক ভাতা মাসিক ১০ হাজার টাকা, স্বেচ্ছাধীন তহবিল ১০ লাখ টাকা, মোবাইল ফোন কেনার জন্য পান ৭৫ হাজার টাকা। মন্ত্রীদের বেতন কর আওতামুক্ত।
মন্ত্রীরা সরকারি খরচে সার্বক্ষণিক গাড়ি পান। ঢাকার বাইরে অফিশিয়াল সফরের জন্য অতিরিক্ত একটি জিপ গাড়ি পান, যার যাবতীয় খরচ বহন করে সরকার।
এছাড়াও মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের যাবতীয় রক্ষণাবেক্ষণ, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, টেলিফোন ব্যয় সরকার বহন করে। সরকারি বাসায় না থাকলে বাড়ি ভাড়া বাবদ ৮০ হাজার টাকা পান একজন মন্ত্রী। সেই সঙ্গে বাড়ি ব্যবস্থাপনা খরচ ও সব ধরনের সেবা খাতের বিল পান।
একজন মন্ত্রীকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রহরী দেওয়া হয়, তার বাসস্থান থেকে অফিস বা অফিস থেকে বাসস্থানে যাতায়াতের খরচ পান। নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের ভ্রমণ খরচও পান মন্ত্রীরা। এছাড়াও অন্তত দুইজন গৃহকর্মীর ভ্রমণের খরচ দেওয়া দিয়ে থাকে সরকার।
একজন মন্ত্রী উপসচিব পদমর্যাদার একজন একান্ত সচিব, সহকারী সচিব পদমর্যাদার একজন সহকারী একান্ত সচিব এবং ক্যাডারের বাইরে থেকে আরেকজন সহকারী একান্ত সচিব পেয়ে থাকেন। জাতীয় বেতন স্কেলে দশম গ্রেডের দুইজন কর্মকর্তা পান মন্ত্রী। একজন জমাদার ও একজন আর্দালি, দুইজন এমএলএসএস, একজন পাচক বা পিয়নও দেওয়া হয় মন্ত্রীকে।
