গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি পাবেন জিম্মিরা
অনলাইন নিউজ ডেক্স
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা থেকে আংশিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাত থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলেছে। হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সদ্য সম্পাদিত চুক্তির অংশ হিসেবেই এই সেনা প্রত্যাহার বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল।
চুক্তির মূল লক্ষ্যগুলোর একটি হলো ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি। সে লক্ষ্যে সেনা সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে দখলদার বাহিনী।
আইডিএফ-এর ১৮৮তম আর্মার্ড ব্রিগেডের ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানগুলো শুক্রবার সকালে গাজা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ফিরে গেছে। কিছু ইউনিট পুরোপুরি গাজা ছাড়লেও অন্যরা ‘ডিপ্লয়মেন্ট লাইন’ বরাবর নতুন করে অবস্থান নিয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, শুক্রবার দুপুরের মধ্যেই এই সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়েছে ইসরায়েল। তবে একইসঙ্গে গাজার ভেতরে এখনও গোলন্দাজ ও বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে, যা পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করে তুলছে।
চুক্তির অংশ হিসেবে সেনা প্রত্যাহার শেষ হওয়ার পর থেকেই ৭২ ঘণ্টার একটি কাউন্টডাউন শুরু হবে। এর মধ্যেই হামাস ৪৮ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ২০ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। তবে যাদের ইতোমধ্যে নিহত বলে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মরদেহ হস্তান্তরে সময় লাগতে পারে বলে হামাস জানিয়েছে মধ্যস্থতাকারী পক্ষগুলোকে।
সেনা প্রত্যাহারের পরও গাজার প্রায় ৫৩ শতাংশ ভূখণ্ড এখনও ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে সেগুলোর অধিকাংশই শহরের বাইরের এলাকা, অর্থাৎ নগর কেন্দ্র নয়।
ইসরায়েলি সরকার বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় চুক্তি অনুমোদনের পর এই সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়। এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় দুই বছরের গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটানোর উদ্যোগের প্রথম ধাপ বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
