গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, হাতেনাতে ৫ জন গ্রেপ্তার
অনলাইন নিউজ ডেক্স
সমন্বয়ক পরিচয়ে রাজধানীর গুলশানে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাম্মী আহমেদের চাঁদাবাজি করতে গিয়ে হাতেনাতে ৫ জন ধরা পড়েছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যার পর গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডের একটি বাসায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে তারা গ্রেপ্তার হন। সমন্বয়ক পরিচয়ে রিয়াদ নামে এক যুবকের নেতৃত্বে এ চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন- মো. সাকাদাউন সিয়াম (২২), নাটোরের লালপুরের বাসিন্দা সাদমান সাদাব (২১), মো. আমিনুল ইসলাম (১৩), ইব্রাহীম হোসেন (২৪) এবং আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ (২৫)। তাদের মধ্যে রিয়াদ নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বাসিন্দা এবং ধানমন্ডির নিউ মডেল এলাকায় বসবাস করেন। এছাড়া ইব্রাহীমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের রামদাসদী গ্রামে এবং আমিনুল বাড্ডা আলাতুন্নেছো স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্র।
এদিকে এ ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ঢাকা মহানগর শাখার তিন নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনটির সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনামের অনুমোদনক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শনিবার (২৬ জুলাই) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেনের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক নীতিমালা ও শৃঙ্খলাপরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাবকে সাংগঠনিক পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে কোনোরকম সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করছে।
জানা গেছে, চাঁদা দাবিকারী ওই দলের নেতৃত্ব দেন রিয়াদ। কয়েকদিন আগে তিনিসহ কয়েকজন সাবেক এক এমপির বাড়িতে গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এরপর ওইদিন তারা ১০ লাখ টাকা নিয়ে আসেন। আজ বাকি টাকা আনতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন তারা।
রাত ৯টার দিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, ‘কিছুদিন আগে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাম্মী আহমেদের বাসায় সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। সাম্মী আহমেদ পলাতক। তাই তার স্বামীর কাছে এই চাঁদা দাবি করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা ১০ লাখ টাকা কয়েকদিন আগে নিয়ে আসে। কিন্তু আজ রাত ৮টার দিকে তারা আবার ওই বাসায় গিয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে আসতে যায়। পরে পরিবারের লোকজন আমাদের খবর দিলে সেখানে গিয়ে রিয়াদসহ সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।’
ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে উল্লেখ করে ওসি বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি। তাদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নাম পরিচয়সহ বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি।’
