চবিতে ভুক্তভোগী শিক্ষককে শোকজ, পেনশন বন্ধের হুশিয়ারি


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ধারের টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইআর) অবসরপ্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক আসহাব উদ্দিন খালেদকে শোকজ নোটিশ ও পেনশন বন্ধের হুশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার চবি রেজিস্টার কে এম নুর আহমদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ শোকজ করা হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দেশের স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয় এমন কোনো কাজ করার অধিকার শিক্ষক আসহাব উদ্দিন রাখেন না। তিনি ১৪ মার্চ উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার, তাঁর মেয়ে এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ ছাড়া উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এ বক্তব্য উপস্থাপন করার জন্য আসহাব উদ্দিনের মাসিক পেনশন স্থগিতসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি ও দেশের প্রচলিত আইনে তাঁর বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রমাণাদিসহ ব্যাখ্যার অনুরোধ করা হলো। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও রিফাত মোস্তফা টিনাকে কয়েকবার কল করা হলেও তারা প্রতিবেদকের কল কেটে দেন। অভিযোগকারী আসহাব উদ্দিন খালেদ বলেন, ‘উপাচার্য মেয়ের টাকা ধার নেওয়া ও ফেরত না দেওয়ার বিষয়ের সঙ্গে আমার পেনশনের কোনো সম্পর্ক নেই। প্রথমত তারা টাকা ফেরত না দিয়ে অন্যায় করছেন। এই সঙ্গে আমাকে শোকজ ও পেনশন বন্ধের হুশিয়ারি দিচ্ছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি এই শোকজের জবাব দেব। তবে পেনশন বন্ধ করা হলে, আমি শিক্ষামন্ত্রী বরাবর চিঠি দেব।’ চবি উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতারের মেয়ে রিফাত মোস্তফা টিনা একজন শিক্ষকের কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা ধার নিয়ে আর ফেরত দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। টাকা ফেরত চেয়ে গত ১৪ মাসে দুই দফা চিঠি দিয়েছেন শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইআর) অবসরপ্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক আসহাব উদ্দিন খালেদ। সর্বশেষ গত ২১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দিয়েছেন তিনি। এর আগে গত জানুয়ারিতে উপাচার্য ও তার মেয়ে বরাবর পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য চিঠি পাঠান তিনি।