চর্মরোগে আক্রান্ত তামান্নার প্রেমিক


বলিউডের ‘ডার্লিং’ অভিনেতা তিনি। চরিত্রাভিনেতা হিসাবে নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন বিজয় বর্মা। হালে সুন্দরী তামান্নার সঙ্গে প্রেম নিয়েও কম চর্চায় থাকেন না তিনি। কিন্তু জানেন কি ছোট থেকেই শ্বেতী রোগে আক্রান্ত ‘লাস্ট স্টোরিজ ২’ অভিনেতা। শ্বেতী নিয়ে আমাদের সমাজে ছুৎমার্গ কম নেই। যদিও সময়ের সঙ্গে মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে। ছোট থেকেই গায়ে ও দু’হাতে শ্বেতী রয়েছে বিজয়ের। এ রোগ নিয়ে অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা কম চ্যালেঞ্জিং ছিল না। এই রোগ কতটা বিরক্ত করে তাকে? টাইমস অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় বিজয় জানান, অভিনয়ের স্বার্থে ‘এটি ধামাচাপা দিয়েছিলেন’, তবে জনসমক্ষে উপস্থিতির সময় কোনোদিন তা ঢেকে রাখেননি। তিনি আরও বলেন, একটা সময় ছিল যখন তার ত্বকের অবস্থা তাকে উদ্বিগ্ন করে তুলত। বিজয়ের কথায়, ‘এটি কেবল একটা কসমেটিক ব্যাপার, এবং শ্বেতী আসলে এমন কিছু নয় যা আপনার জীবনের গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে। আমরা এটিকে বড় সমস্যা হিসেবে ধরি কারণ এটি বাইরে থেকে দেখা যায়, তবে আমি সত্যিই কখনও বড় সমস্যা হিসাবে ভাবিনি। আমার হাতে যখন কাজ ছিল না, তখন বেকার অভিনেতা বিজয়কে এই ব্যাপারটা উদ্বিগ্ন করত। আমি ভাবতাম যে এটি একটি বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিনা। কিন্তু যখন থেকে আমি কাজ করছি এবং অনেক সাফল্য দেখছি, তখন থেকে এটি আমাকে বিব্রত করেনি’। তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার চলচ্চিত্রের জন্য এটি ঢেকে রেখেছি কারণ এটি বিভ্রান্তকর হতে পারে… তাই আমি এটি লুকিয়ে রাখি (পর্দায়)। কিন্তু এত বছর ধরে জনসমক্ষে আসার সময় আমি কখনো এই দাগকে ধামাচাপা দেওয়ার চিন্তা করিনি। আজকাল মানুষ খুব বুদ্ধিমান, এবং আমি অনুভব করি যে আজকের প্রজন্মের মধ্যে দায়িত্ববোধের এক সহজাত অনুভূতি রয়েছে। আমার ত্বকের অবস্থার জন্য আমাকে কখনো আলগাভাবে কথা বলা হয়নি। অন্য সময় হলে হয়তো এটা আলোচনার বিষয় হয়ে উঠতে পারত’। বিজয় বর্মা খোলাখুলি কথা বলেছেন তামান্নার সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়েও। প্রেম লুকিয়ে রাখায় বিশ্বাসী নন অভিনেতা, সেই কারণেই রাখঢাক রাখেননি সম্পর্ক নিয়ে। বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা দুজনেই একসঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করি এবং আমরা যদি একে অপরকে পছন্দ করি তাহলে এটা লুকানোর দরকার নেই। একটি সম্পর্ক লুকানোর জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়। আপনি একসঙ্গে বাইরে যেতে পারবেন না, আপনার বন্ধুরা আপনার ফটো তুলতে পারবেন না। আমি এই ধরনের বিধিনিষেধ পছন্দ করি না। এমন নয় যে আমি বাইরে থাকতে চাই, কিন্তু আমি খাঁচায় বন্দি হতে চাইনি। আমি আমার অনুভূতিকে খাঁচায় বন্দি করতে চাইনি।’