জাতীয়করণসহ ১১ দাবিতে শিক্ষকদের সমাবেশ
অনলাইন নিউজ ডেক্স

সরকারি-বেসরকারি বৈষম্য দূর করতে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই শতভাগ উৎসব ভাতা, পূর্ণাঙ্গ বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা দেওয়াসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতারা।শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে ওইসব দাবি জানানো হয়।বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদের সভাপতিত্বে এবং শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব শামীম আল মামুন জুয়েলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিটিএ’র প্রধান উপদেষ্টা অধ্যক্ষ বজলুর রহমান মিয়া, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের কো-চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবুল বাশার হাওলাদার, হারুনুর রশিদ মজুমদার, শাজাহান খান, বিটিএ’র উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আলী আহামেদ, রঞ্জিত কুমার সাহা, অধ্যক্ষ আবুল কাশেম, সহসভাপতি বেগম নূরুন্নাহার, অধ্যক্ষ আতিয়ার রহমান প্রামাণিক, মহিউদ্দিন, সুনীল বরন হালদার, ইকবাল হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদার প্রমুখ।বক্তারা বলেন, দেশের সিংহভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী দ্বারা। কিন্তু এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মাত্র ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীনে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য।তাদের ১১ দফা দাবি হলো- শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ শিক্ষা খাতে জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দ করা, ঈদুল আজহার আগেই পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা দেওয়া, বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল ৬ষ্ঠ গ্রেড করা, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সার্বজনীন বদলি প্রথা চালু করা, পেনশন প্রথা চালু করা, শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরির বয়স ৬৫ বছরে উন্নীত করা, শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন, ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি প্রথা বিলুপ্ত করা, শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা।
