টঙ্গীবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিটের অভাবে ফ্লোরে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা।


মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বেট পাচ্ছে না রোগীরা। সিট না পেয়ে বাধ্য হয়ে ফ্লোরিং করছেন রোগীরা এতে ভোগান্তির যেন শেষ নেই। মঙ্গলবার (২৩শে)এপ্রিল টঙ্গীবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় তীব্র তাপদাহে অসুস্থ রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। বাধ্য হয়েই অস্বস্তিকর পরিবেশে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে মা শিশু বৃদ্ধ গর্ভবতী সহ বিভিন্ন রোগীদের। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৯৪ জন।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায় ৫০ সিট বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫০ ঊর্ধ্বে হওয়াতে ভীষণ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, তাছাড়া আমাদের কোন উপায় নেই কোথায় যাব আমরা। বাধ্য হয়েই অস্বস্তিকর পরিবেশে সেবা নিতে হচ্ছে আমাদের। অপরদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শৌচাগার গুলোর অবস্থা নাজেহাল হয়ে পড়েছে কোন অবস্থাতেই ব্যবহারের যোগ্য নয়। দরজা জানালার চৌকাঠ গুলো যেন বছরেও একটু ধুয়ে মুছে মাকড়ের আশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছে না। ওই সমস্ত ফাঁকিবাজ ক্লিনার ও পরিছন্ন কর্মীরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চতুর সীমানায় যেন ময়লার ভাগার এবং ঘাস পাতা ও লতাপাতায় জড়ানো, আবর্জনার ভাগার ও ড্রেনগুলো থেকে সন্ধ্যার আগ মুহুর্তেই মশার উপদ্রব শুরু হয়। এতে করে অসুস্থ রোগী আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিশেষত মা ও শিশু বৃদ্ধদের জন্য অনেকটাই হুমকি স্বরুপ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবা নিতে আসা রোগীদের দাবী হাসপাতাল ওয়ার্ড কক্ষ ও কেবিনের শৌচাগার গুলো সংস্কার সহ ১৫০ শয্যা বিশিষ্ট চিকিৎসালয়ের দাবি জানিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে সেবা নিতে আসা রোগীরা স্বস্তি পাবে।বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা যায় পর্যাপ্ত কর্মী সংকটের দরুণ চিকিৎসা সেবাসহ হাসপাতালের পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে,। এমনকি চলমান তীব্র তাপদাহে রোগীদের সংখ্যা অনবরত বেড়েই চলছে ৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে সেবা নিতে হচ্ছে ১১৪ জনের, পর্যাপ্ত চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ডাক্তার ও সিস্টারদের। রোগীদের চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ইমারজেন্সী বিভাগের মেডিকেল অফিসারসহ এস এ সি এম ও, ডাক্তার।জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রকিব হাসান জানান বেতন না পেয়ে আউটসোর্সিং এর বেশ কিছু পরিচ্ছন্ন কর্মীসহ কর্মচারীরা ঈদুল ফিতোরের কিছুদিন পূর্বে ছুটি নিয়ে চলে গেছে এখনো পর্যন্ত অনেকেই আসেনি এমতাবস্থায় চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের এত চাপ হওয়ার কারণ জানতে চাইলে আর,এম,ও ডক্টর নূরে আলম সিদ্দিক জানান এই গ্রীষ্মের সময় তীব্র তাপদাহে সিজনাল রোগ ব্যাধি সহ ঠান্ডা জ্বর কাশি সর্দি ডায়রিয়া সহ বুকে ও পেটে ব্যথার রোগীর সংখ্যা অনেকটাই বেশি ফলে সেবা নিতে আসা রোগীদের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল হওয়ায় বাড়তি রোগীদের সেবা দিতে বিঘ্ন ঘটছে।এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টি.এস. ড.প্রনয় মান্না দাস দৈনিক ডোনেট  বাংলাদেশ কে জানান, আমরা গতবছর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জন্য চাহিদা দিয়েছি বাজেট আসলে আশা রাখছি অচিরেই চিকিৎসা সেবায় স্বস্তি ফিরে আসবে।