ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন: মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের পূর্ণ প্রস্তুতির ইঙ্গিত


নানা চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজে আসবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৭ সালে ট্রাম্প যখন প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় বসেন, সে সময়ের চেয়ে বর্তমান পরিস্থিতি আরো আলাদা। রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের প্রায় তিন বছরের কাছাকাছি সময় যুদ্ধ চলছে। অন্যদিকে ইসরাইল যুদ্ধ করছে গাজা এবং লেবাননে। তাই টালমাটাল মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিতে সহজ হবে না ট্রাম্পের দ্বিতীয় যাত্রা।

তবে মিডল ইস্ট আইয়ের মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষক ডেভিড হার্স্টের মতে, দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প যেভাবে তার প্রশাসন সাজাচ্ছেন, তাতে মনে হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে পুরোপুরি যুদ্ধের সব প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। অথচ নির্বাচিত হওয়ার আগে ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট থাকলে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ হতো না।

এমনকি কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে বিজয়ী ভাষণে অতিদ্রুত যুদ্ধ বন্ধ করবেন বলে দাবি করেছেন। কিন্তু তার প্রশাসনে এমন সব ব্যক্তিদের বাছাই করা হচ্ছে, যারা আগ্রাসী এবং কট্টরপন্থি হিসেবে পরিচিতি।

ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে আরও বিতর্কিত ভূমিকার জন্য পরিচিত ছিলেন। অতীতে তার প্রশাসন ইরানের প্রতি কঠোর অবস্থান নেয় (যেমন— ইরান পারমাণবিক চুক্তি থেকে প্রত্যাহার), মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরিত করে এবং গোলান মালভূমিতে ইসরাইলি সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেয়। এই পদক্ষেপগুলো ছিল অত্যন্ত বিতর্কিত এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে ইরান, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী এবং অন্যান্য আরব রাষ্ট্রের সমর্থনের বিরুদ্ধে।

সমালোচকরা মনে করছে, একটি কট্টর অবস্থান বা সামরিক হুমকি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষ, প্রক্সি যুদ্ধ বা ইতোমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর অস্থিতিশীলতা তৈরি করেছে।

এখন পর্যন্ত প্রশাসনে যাদের নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প

দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প তার সবচেয়ে বিশ্বস্ত অনুগত মিত্রদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়ে পুরস্কৃত করার পথে হাঁটছেন। সমালোচকরা বলছেন, কিছু ব্যক্তির প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা প্রায় নেই বললেই চলে। কট্টরপন্থিদের নিয়ে এটি ঘোরতর যুদ্ধবাজ প্রশাসনে রুপ নিতে পারে অচিরেই। তবে প্রতিনিধি পরিষদ এবং সিনেটে রিপাবলিকানদের একচেটিয়া আধিপত্য নিয়োগের ক্ষেত্রে অনুমোদন পেতে সমস্যা হবে না ট্রাম্পের।

হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ: সুসি ওয়াইলস

পররাষ্ট্রমন্ত্রী : মার্কো রুবিও

অ্যাটর্নি জেনারেল: ম্যাট গেটজ

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল: টড ব্লাঞ্চ

স্বাস্থ্যমন্ত্রী : রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র

জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত: এলিস স্টেফানিক

প্রতিরক্ষা সচিব: পিট হেগসেথ

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা: মাইকেল ওয়াল্টজ

হোয়াইট হাউসের পরামর্শদাতা: উইলিয়াম ম্যাকগিনলে

সলিসিটর জেনারেল: ডিন জন সাউয়ার

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি: ক্রিস্টি নয়েম

সিআইএ পরিচালক: জন র্যাটক্লিফ

জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক: তুলসি গ্যাবার্ড

ইপিএ প্রশাসক: লি জেলদিন

ইসরাইলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত: মাইক হাকাবি

নিউ ইয়র্কের দক্ষিণ জেলার মার্কিন অ্যাটর্নি: জে ক্লেটন

সরকারি দক্ষতা বিভাগ: ইলন মাস্ক এবং বিবেক রামস্বামী

ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ: ড্যান স্ক্যাভিনো