নেতৃত্বে ‘এ’ প্লাস, ব্যাটিংয়ে ফেল লিটন


ব্যাট হাতে লিটনের সময়টা বেশ খারাপই যাচ্ছে। অমিত প্রতিভাধর এ ব্যাটার গত আগস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে ১৩৮ রানের একটি ইনিংস বাদে চলতি বছর তিন ফরম্যাটে বলার মতো তেমন কিছু করতে পারেননি। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছেন। টি-২০ সিরিজেও রান পাননি তিনি। শেষ টি-২০ ম্যাচে আশা দিয়েও ১৪ রান করে আউট হয়েছেন।ব্যাটে রান না থাকলেও টি-২০ সিরিজে নেতৃত্ব দিয়ে যেন পুষিয়ে দিয়েছেন লিটন। কোচ ফিল সিমন্স তো লিটনের নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ছয় বছর পর টি২০ সিরিজ জয়ের অন্যতম ‘এক্স ফ্যাক্টর’ হিসেবে তিনি দেখছেন লিটনের সাহসী নেতৃত্বকে।সিমন্স দ্বিতীয় টি২০ শেষে বলেন, ‘এই দুটি ম্যাচেই লিটন মাঠে দারুণ সব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে বেশ ভালোভাবেই নেতার দায়িত্ব পালন করছে। রান করছে না, এটা একটু চিন্তার বিষয়। তবে সবাই তো প্রতিদিন রান করবে না। খেলোয়াড়রা প্রস্তুত থাকে ভালো করার জন্য।’কোচের চিহ্নিত লিটনের দারুণ সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে শীর্ষে থাকবে বোলারদের যথাযথ ব্যবহার। বিশেষ করে আর্নস ভেলের এই উইকেটে অফস্পিনার মেহেদি হাসানকে প্রথম টি২০তে তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে আনা ছিল মাস্টার স্ট্রোক। মেহেদির সঙ্গে উইকেটকিপার লিটনের বোঝাপড়াও আলাদাভাবে নজরে পড়ছে। দু’জনের বোঝাপড়ার ফসলই ছিল নিকোলাস পুরানের স্টাম্পিং।দ্বিতীয় টি২০তেও লিটনের পরামর্শ মতো বোলিং করে পুরানকে আউট করেন মেহেদি। ষষ্ঠ ওভারে পুরানের বিপক্ষে প্রথম চার বল অফস্টাম্পের বাইরে করেন মেহেদি। পঞ্চম বলটি অধিনায়ক তাঁকে মিডল স্টাম্পে একটু ফ্লাইট দিতে বলেন। ফ্লাইট পেয়ে ক্রস খেলতে গিয়েছিলেন ক্যারিবীয় এ ব্যাটার। বল তাঁর ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে প্রথম স্লিপে সৌম্যর হাতে চলে যায়।ওই ম্যাচে ৪ উইকেট পাওয়া মেহেদিও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন লিটনের। লিটনের ফর্ম নিয়ে নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাকও চিন্তিত নন। লিটনের নেতৃত্বের প্রশংসা ঝরেছে তার মুখেও, ‘লিটনের নেতৃত্বেই টি-২০তে বাংলাদেশ জিতেছে। মাঠে তার সিদ্ধান্তগুলো তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসেবে সে তাঁর দায়িত্ব চমৎকারভাবে পালন করেছে।’তবে লিটন দলে আছেন ব্যাটার হিসেবে। রান করা তাঁর মূল কাজ। সেটা করতে না পারলে দলে তাঁর অবস্থান নড়বড় হবেই। বিপিএলে রানে ফিরতে না পারলে ফেব্রুয়ারির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির একাদশে জায়গা হারাতে পারেন তিনি। বিষয়টি লিটনেরও অজানা থাকার কথা নয়, ‘কোচ বা টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে কোন চাপ ছিল না। পরবর্তীতে আমরা যেখানেই খেলবো, ভালো খেলতে হবে।’