ডিসি নিয়োগে ঘুস, সচিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আল্টিমেটাম


জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এবং বিতর্কিত দুজন যুগ্ম সচিব ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও আলী আযমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য।বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় তারা।বিবৃতিতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোখলেছস উর রহমান ও কয়েকজন অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিবের অবিশ্বাস্য রকম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা সম্পর্কে বিভিন্ন মিডিয়ায় সম্প্রতি যেসব তথ্যনির্ভর খবর পরিবেশিত হয়েছে; তা জেনে আমরা স্তম্ভিত ও উদ্বিগ্ন। তারা উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কয়েকজন ‘সমন্বয়কারীর’ নাম ভাঙিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। তাদের এই অপকর্ম বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার, সমগ্র জনপ্রশাসন, দেশ ও জাতিকে গভীরভাবে হেয়প্রতিপন্ন করেছে। আমরা তাদের এ কুকর্মকে কখনই মেনে নিতে পারি না।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য জানায়, আমরা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোখলেস উর রহমান ও দায়ী অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিবের চাকরি থেকে অপসারণপূর্বক আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। আমাদের দাবি পূরণ না হলে আগামী রোববার (০৬ অক্টোবর) সকাল ৯টায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ‘শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি’ ঘোষণা করছি।প্রসঙ্গ, একটি জাতীয় পত্রিকায় আজ প্রকাশিত এক সংবাদ দাবি করা হয়, সম্প্রতি জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগে ভয়াবহ কেলেঙ্কারি হয়েছে। এ নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এবং দুই যুগ্ম সচিব ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও আলী আযম সরাসরি জড়িত। টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথনের কিছু তথ্যও প্রকাশ করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। এর পরই আলোচনা শুরু হয় বিষয়টি নিয়ে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।