প্রকাশিতঃ জানুয়ারি ১, ২০২৫
৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ

আন্তর্জাতিক

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।  এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*।  ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে।  আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫।  এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে।  রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের  অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি:  উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।  বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।

আরও খবর

তাইওয়ানে বর্ষবরণে কান্নার উৎসব


তাইওয়ানে বর্ষবরণে কান্নার উৎসব
পুরাতনকে ভুলে নতুন বছর যেন নতুন আশার সঞ্চার। সবমিলিয়ে যেন ভালো যায় এই যেন সবার কাম্য। সারাবিশ্বে চলে নানা আয়োজন। রঙিন ও বর্ণাঢ্য সাজে মেতে উঠে অধিকাংশ দেশের রাস্তা-ঘাট। কিন্তু বৈচিত্র্যময় বিশ্বে এই উৎসব পালনে দেখা যায় ভিন্নতা। পূর্ব এশিয়ার দেশ তাইওয়ানে রীতিমতো কান্নার মাধ্যমে শুরু হয় বর্ষবরণ উৎসব। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।তাইপেই শহরের দা’আন ফরেস্ট পার্কে এই কান্নার উৎসবের আয়োজন করেছিলেন ২২ বছর বয়সি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হ্যারি লি। ২০২৩ সালে মজার ছলে ফেসবুকে করা একটি পোস্ট থেকে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের সূচনা হয়। পোস্টে তিনি আহ্বান জানান মানুষকে পার্কে এসে ৩০ মিনিট ধরে কাঁদতে। বিষয়টি জনপ্রিয় তাইওয়ানিজ চলচ্চিত্র ‘ভিভ ল’আমোর’-এর একটি দৃশ্য থেকে অনুপ্রাণিত। ১৯৯৪ সালে ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত এই চলচ্চিত্রটি তাইপেই শহরের দ্রুত আধুনিকায়ন এবং নগরজীবনের একাকীত্ব ও অবসাদকে চিত্রিত করে। চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে নারী চরিত্রটি পার্কের বেঞ্চে বসে দীর্ঘক্ষণ কাঁদার পর সিগারেট জ্বালিয়ে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।হ্যারি লি’র পোস্টটি মজার জন্য করা হলেও তা দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। ২০২৩ সালের নববর্ষের রাতে প্রায় ১৬ হাজার মানুষ এতে যোগদানের আগ্রহ দেখান। শত শত মানুষ পার্কে জড়ো হয়ে কাঁন্না, হাসি, গান গাওয়া, নাচ ও গল্প বলার মাধ্যমে উৎসব উদযাপন করেন। লি বলেন, আমি কখনও ভাবিনি মানুষ সত্যিই আসবে বা এটি এতটা জনপ্রিয় হবে।২০২৪ সালের এই কান্নার উৎসবে ইতোমধ্যে ৩৩ হাজার মানুষ যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এবার তাইওয়ান ফিল্ম অ্যান্ড অডিওভিজ্যুয়াল ইনস্টিটিউট এই আয়োজনকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। তারা পার্কে ‘ভিভ ল’আমোর’ চলচ্চিত্রের মুক্তির ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে একটি আউটডোর প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। চলচ্চিত্রের মূল অভিনয়শিল্পীরা এতে অংশ নেবেন। ২০২৩ সালে অংশগ্রহণকারীরা এই আয়োজনকে সংবেদনশীল ও আবেগঘন বলে বর্ণনা করেছেন। কেউ কেউ সেখানে নিজের কষ্টের কথা ভাগাভাগি করে কেঁদেছেন, আবার অনেকে নিজেদের আবেগমুক্ত করেছেন। অ্যাস্টার চ্যাং বলেন, ‘আমি সত্যিই কেঁদেছি! একটি পুরো টিস্যু প্যাকেট শেষ হয়ে গিয়েছিল’। আরেক অংশগ্রহণকারী চেন চু-ইয়ুয়ান বলেন, ‘যখন আপনি এখানে কাঁদবেন, তখন মানুষ আপনাকে সান্ত্বনা দেবে, আঙুল তুলে দেখাবে না।’এই কান্নার উৎসবটি দেখিয়েছে যে, সবাই একইভাবে আনন্দ উদযাপন করে না। যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যদের জীবন দেখে ঈর্ষান্বিত বা একাকী বোধ করেন, তাদের জন্য এটি ছিল এক বিরল ও মুক্তির মতো অভিজ্ঞতা। উল্লেখ্য, তাইওয়ানে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ৩০ থেকে ৪৫ বছর বয়সিদের প্রতি চারজনের একজনের মধ্যে বিষণ্নতা বা উদ্বেগের লক্ষণ দেখা গেছে। এই সমস্যার সমাধানে সরকার বিনামূল্যে কাউন্সেলিং প্রোগ্রাম চালু করেছে।